জনশ্রুতি আছে, এক বানভাসি বৃদ্ধা নান্দায় ভাসতে ভাসতে আলমডাঙ্গার কোন এক স্থানে উঠে এসে বলেছিলেন, ‘আলাম ডেঙায়!’ আর সেই থেকে এই জনপদের নাম হয়েছিল ‘আলামডেঙা’, যা কালক্রমে আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত পাই। তবে এটা অনেকটাই কিম্বদন্তী। আরেকটি মত আছে যেটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। কথিত আছে আলমডাঙ্গার উপকণ্ঠে আসাননগর এলাকায় আলম ফকির নামে এক সাধক বাস করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় আলমডাঙ্গা। আসাননগরের কিছু অংশ পার আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত, যা আলম ফকির সম্পর্কীয় জনশ্রুতিকে কিছুটা হলেও সমর্থন করে। তবে আলম ফকিরের কোনো কবর বা মাজারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভুট্টা, তামাক ও পানে, খেজুরের গুড় এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল এবং আম উৎপাদন করে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন।
চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার নথিপত্রে দেখা গেছে, ১৯৮৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অনুয়ায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বমোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ নাম ওঠে প্রায় ১৮০০ জনের।
সমুদ্র থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা: স্বাধীনতা যুদ্ধের সুতিকাগার বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত করেন বাংলার মুক্তিসেনারা।
১৮৬২ সালে ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হলে ১৮৬২ সালে মহকুমা সদর দপ্তর দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থান্তরীত হয়। যার ফলে চুয়াডাঙ্গা তখন নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা এবং বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।