The Ballpen
ইন্দুরকানী উপজেলায় নদ-নদী গুলো কী কী? - theballpen

ইন্দুরকানী উপজেলায় নদ-নদী গুলো কী কী?

25th Dec 2022 | পিরোজপুর জেলা |

ইন্দুরকানী উল্লেখ্যযোগ্য নদী বলেশ্বর, কঁচা,পানগুছি। উপজেলাটির পূর্বদিকে কঁচা নদী,দক্ষিণ এ পশ্চিম দিকে পানগুছি নদী এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম ও দক্ষিণ পূর্ব জনপদে আঘাত হানা প্রলংকরী ঘূর্নিঝড় সিডরের উৎপত্তিস্থল এই বলেশ্বরনদী ইন্দুরকানী উপজেলার মাঝ দিয় প্রবাহিত হয়ে পূর্বে কঁচা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এবং কঁচা নদীর নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পতিত হযেছে। বর্তমানে বলেশ্বর নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে যা ইন্দুরকানী ব্রীজ নামে পরিচিত।

কঁচা ও বলেশ্বর নদীর  তীর পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাধ নির্মাণ করা আছে। এ নদীর মাধ্যমে ষ্টীমার ঢাকা থেকে খুলনা রুটে চলাচল করে এবং ছোট বড় অনেক লঞ্চ, ট্রলার,অসংখ্য নৌকা চলাচল করে ও একস্থান থেকে মালামাল আনানেওয়া  করা হয়। এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়। মাছ ধরে বহু লোকজন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। মাছের মধ্যে ইলিশ, তপসে, পোয়া, আইর, বোয়াল, কোড়াল,রিটা,চিতল ও আরো বহু প্রজাতির ছোট বড় মাছ উল্লেখযোগ্য।





Related

পিরোজপুর জেলা কি জন্য বিখ্যাত?

 পিরোজপুর জেলা নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া এর জন্য বিখ্যাত।

প্রবাদ প্রবচন ও বিয়ের গানের জন্য পিরোজপুর বিখ্যাত। বর্তমানে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী,সংগীতা, ধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠী, রুপান্তর নাট্য গোষ্ঠী, পিরোজপুর থিয়েটার, কৃষ্ণচুড়া থিয়েটার, বলাকা নাট্যম্ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালন পালন ও প্রচারে একাগ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।



Related

পিরোজপুর কত নম্বর সেক্টরে ছিল?

মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডের আওতায়।



Related

পিরোজপুর জেলার ভৌগোলিক সীমানা

পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা এবং পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন অবস্থিত। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।



Related

পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা কত?

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১১,১৩,২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৪৮,২২৮ জন এবং মহিলা ৫,৬৫,০২৯ জন। মোট পরিবার ২,৫৬,০০২টি।



Related

পিরোজপুর জেলার ভূ-ভাগের গঠন

পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে। পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে। ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।