উইন্ডোজ ১১ এর টাস্ক বারে সেকেন্ড দেখানো এখন বেশ সহজ। আপনি চাইলে খুব সহজেই এটি করতে পারেন। চলুন দেখি কীভাবে আপনি উইন্ডোজ ১১ এর টাস্ক বারে সেকেন্ড দেখাবেন ।
চ্যাট জিপিটি হল একটি কথোপকথনমূলক AI মডেল যা OpenAI দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি অত্যাধুনিক ভাষা প্রজন্মের মডেল যা প্রাকৃতিক ভাষা ইনপুটের জন্য মানুষের মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে গভীর শিক্ষা ব্যবহার করে।
চ্যাট জিপিটি একটি নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইনপুট টেক্সট প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কাজ করে, যা টেক্সট ডেটার একটি বৃহৎ কর্পাসের উপর প্রশিক্ষিত হয়েছে।
মডেলটি এই প্রশিক্ষণটি একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহার করে যা ইনপুট পাঠ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক এবং সুসংগত।
ইনপুট পাঠ্যের প্রেক্ষাপটে অনুক্রমের পরবর্তী শব্দের পূর্বাভাস দিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি করা হয় এবং একটি সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করে।
সংক্ষেপে, চ্যাটজিপিটি মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, তবে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা এবং এর সীমাবদ্ধতা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ইনকাম করার কিছু উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো:-
আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট চালিয়ে আপনার জ্ঞান, দক্ষতা বা আপনার পছন্দের বিষয়ে লেখালেখি করতে পারেন। লোকদের সাথে আপনার লেখা পরিচালনা করে চ্যাট জিপিটি আপনাকে ইনকাম করতে সহায়তা করবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদান করে আয় করার একটি উপায় হতে পারে।
চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনি একটি প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, যেখানে ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন উত্তর করার জন্য চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করা হবে। আপনি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদান করে ইনকাম করতে পারেন এবং যদি ওয়েবসাইটে অন্যান্য সেবা প্রদান করেন তাহলে আরও আয় করতে পারেন।
চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনি সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল পরিচালনা সেবা প্রদান করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের সাথে চ্যাট করে চ্যাট GPT পোস্ট লেখা, উত্তর দেওয়া এবং প্রশ্ন সমাধান করতে পারেন। এরপরে আপনি এই প্রদানকারীদের জন্য পেমেন্ট নিতে পারেন।
আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে সাইবার কোম্পানিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করতে পারেন, কাস্টমার পরামর্শ দিতে পারেন বা যে কোনও অনলাইন কাজে যাত্রা করতে পারেন।
চ্যাট জিপিটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কথোপকথনমূলক এআই মডেলগুলিকে প্রশিক্ষণ এবং বিকাশ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন গ্রাহক পরিষেবার জন্য চ্যাটবট বা ব্যবসার জন্য ভার্চুয়াল সহকারী। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি তারপর ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে।
চ্যাট জিপিটি বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী যেমন পণ্যের বিবরণ, সামাজিক মিডিয়া পোস্ট বা নিবন্ধগুলির জন্য পাঠ্য তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পরিষেবাগুলি ব্যবসায় বা ব্যক্তিদের জন্য অফার করা যেতে পারে যারা উচ্চ-মানের, অনন্য সামগ্রী তৈরি করতে চায়।
আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি প্রশিক্ষণ সামগ্রী তৈরি করতে এবং সেই ক্ষেত্র সম্পর্কে আরও জানতে চাইছেন এমন ব্যক্তি বা ব্যবসায়িকদের পরামর্শ বা কোচিং পরিষেবা অফার করতে Chat GPT ব্যবহার করতে পারেন।
চ্যাট জিপিটি বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইন কোর্স এবং ভিডিও টিউটোরিয়ালের জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কোর্সগুলি এমন ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে যারা একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চান।
অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে GPT-3 ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনাকে OpenAI API পরিষেবার শর্তাবলীর আইনি শর্তাবলী সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং এপিআই কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কীভাবে ডেটা প্রক্রিয়া করতে হবে সে সম্পর্কে আপনার ভাল ধারণা থাকতে হবে
ভিপিএন (Virtual Private Network) আপনার আইপি(IP) ঠিকানা নকল করে অনলাইনে আপনাকে প্রাইভেসি দিয়ে থাকে.
কম্পিউটারে ব্যবহার করার নিয়ম:
শুধু ব্রাউজারে ব্যবহার করার নিয়ম:
মোবাইলে ব্যবহার করার নিয়ম:
✿➢১. মোট ভাগ - ১১টি
✿➢২.মোট অনুচ্ছেদ -১৫৩ টি
✿➢৩.মোট তফসিল -৭ টি
✿➢৪.মূলনীতি - ৪ টি
✿➢৫.সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য -৩৪ জন
✿➢৬.সংরক্ষিত মহিলা আসন -৫০ টি
✿➢৭.সংবিধান সংশোধন -২/৩ অংশ ভোট
✿➢৮.রাষ্ট্রপতির অভিশংসন -২/৩ অংশ ভোট
✿➢৯.এক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ হবেন -২ বার।
✿➢১০.রাষ্ট্রপতির বয়স -৩৫ বছর
✿➢১১.প্রধানমন্ত্রীর বয়স -২৫ বছর
✿➢১২.সংসদ সদস্যের বয়স - ২৫ বছর
✿➢১৩.শিশুশ্রম নিষিদ্ধ - ১৪ বছরের নিচে
✿➢১৪.প্রধান বিচারপতির অবসরসীমা -৬৭ বছর
✿➢১৫.পিএসসি চেয়ারম্যানের অবসরসীমা -৬৫
✿➢১৬.মহাহিসাব নিরীক্ষকের অবসর সীমা -৬৫ বছর
✿➢১৭.সংসদ অধিবেশন বিরতি - ৬০ দিন
✿➢১৮.সংসদ নির্বাচন -৯০ দিন
✿➢১৯.সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন আহ্বান -৩০ দিন
✿➢২০.অধ্যাদেশ কার্যকর - ৩০ দিন
……………
✿সংবিধান নিয়ে ১৪৯টি প্রশ্নঃ
1. প্রশ্ন: যুদ্ধপরাধীদের বিচারসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি হলো -
উত্তর: ৪৭
2.প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: চতুর্থ
3.প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তৃতীয় ভাগে
প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি কোন অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে?
উত্তর: ১১৭
4. প্রশ্ন: “আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।” – বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
উত্তর: ধারা ২৭
5. প্রশ্ন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে রদ করা হয়েছে?
উত্তর: ১৫ তম
6) বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে?
উঃ- ২৩ মার্চ, ১৯৭২।
7) বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়?
উঃ- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২।
8.গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়?
উঃ- ০৪ নভেম্বর,১৯৭২।
9) কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়?
উঃ- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
10) বাংলাদেশে গনপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ- ১০ এপ্রিল, ১৯৭২।
11) সংবিধান প্রনয়ণ কমিটি কতজন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়?
উঃ- ৩৪ জন।
12) সংবিধান রচনা কমিটির প্রধান কে ছিলেন?
উঃ- ডঃ কামাল হোসেন।
13) সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য কে ছিলেন?
উঃ- বেগম রাজিয়া বেগম।
14) বাংলাদেশ সংবিধানের কয়টি পাঠ কয়েছে?
উঃ- ২ টি। বাংলা ও ইংরেজি।
15) কি দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান শুরু ও শেষ হয়েছে?
উঃ- প্রস্তাবনা দিয়ে শুরু ও ৭টি তফসিল দিয়ে শেষ।
16) বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি ভাগ আছে?
উঃ- ১১ টি।
17) বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ/ধারা কতটি?
উঃ- ১৫৩ টি।
18) বাংলাদশের প্রথম হস্তলেখা সংবিধানের মূল লেখক কে?
উঃ- আবদুর রাউফ।
19) প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোন কাজ রাষ্ট্রপতি এককভাবে করতে সক্ষম?
উঃ- প্রধান বিচারপতির নিয়োগ দান।
20) রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল কত বছর?
উঃ- কার্যভার গ্রহনের কাল থেকে ৫ বছর।
21) একজন ব্যক্তি বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কত মেয়াদকাল?
উঃ- ২ মেয়াদকাল।
22) কার উপর আদালতের কোন এখতিয়ার নেই?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
23) জাতীয় সংসদের সভাপতি কে? উঃ- স্পিকার।
24) রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চাইলে কাকে উদ্দেশ্য করে পদত্যাগ পত্র লিখবেন?
উঃ- স্পিকারের উদ্দেশ্যে।
25) প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান করেন কে?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
26) এ্যার্টনি জেনারেল পদে নিয়োগ দান করেন কে?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
27) সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে কতটি?
উ:১২টি।
28) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনটি?
উঃ- সুপ্রীম কোর্ট।
29) সুপ্রীম কোর্টের কয়টি বিভাগ আছে?
উঃ- ২টি । আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ
30) সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের মেয়াদকাল কত?
উঃ- ৬৭ বছর পর্যন্তু।
31) বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম মূলনীতি কি ছিল?
উঃ- ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র।
32) কোন আদেশবলে সংবিধানের মূলনীতি “ধর্মনিরপেক্ষতা” বাদ দেয়া হয়?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
33) কোন আদেশবলে সংবিধানের শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সন্নিবেশিত হয়?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
34) কোন আদেশবলে বাংলাদেশের নাগরিকগণ “বাংলাদেশী” বলে পরিচিত হন?
উঃ- ১৯৭৮ সনে ২য় ঘোষনাপত্র আদেশ নং ৪ এর ২ তফসিল বলে।
35) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “গনতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকারের” নিশ্বয়তা দেয়া আছে?
উঃ- ১১ অনুচ্ছেদ।
36) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “কৃষক ও শ্রমিকের” মুক্তির কথা বলা আছে?
উঃ- ১৪ অনুচ্ছেদ।
37) সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ” এর কথা বলা হয়েছে?
উঃ- ২২ অনুচ্ছেদ।
38) “সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী” বর্ণিত কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ২৭ অনুচ্ছেদে।
39) জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষিত রয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩২ অনুচ্ছেদে।
40) গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কিত রক্ষাকবচের কোন অনুচ্ছেদ?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৩ অনুচ্ছেদে।
41) জবরদস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৪ অনুচ্ছেদে।
42) চলাফেরার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৬ অনুচ্ছেদে।
43) সমাবেশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৭ অনুচ্ছেদে।
44) সমিতি ও সংঘ গঠনের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৮ অনুচ্ছেদে।
45) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯ (১) অনুচ্ছেদে।
46) বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯(২) ক অনুচ্ছেদে।
47) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৩৯ (২) খ অনুচ্ছেদে।
48) পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪০ অনুচ্ছেদে।
49) ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪১ অনুচ্ছেদে।
50) সম্পত্তির অধিকারের কথা বর্ণিত হয়েছে কোন অনুছেদে?
উঃ- ৩য় ভাগে, ৪২ অনুচ্ছেদে।
51) স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ কোনটি?
উঃ- ৭৪ অনুচ্ছেদ।
“বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন” এর সাথেই থাকুন।
52) ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত কথা বলা হয়েছে?
উঃ- ৭৭ অনুচ্ছেদে।
53) জাতীয় সংসদে ন্যায়পাল আইন কবে পাস হয়?
উঃ- ১৯৮০ সালে।
54) বাংলাদশের সংবিধানের এ পর্যন্তু মোট কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে?
উঃ- ১৬ টি।
55) ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কবে জারী করা হয়?
উঃ- ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫।
56) ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কবে বাতিল করা হয়?
উঃ- ১২ নভেম্বর, ১৯৯৬।
58) বাংলাদেশের আইন সভার নাম কি?
উঃ- জাতীয় সংসদ।
59) জাতীয় সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর কবে স্থাপন করা হয়?
উঃ- ১৯৬২ সালে।
60) জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে?
উঃ- লুই আই কান।
61) লুই আই কান কোন দেশের নাগরিক?
উঃ- যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
62) জাতীয় সংসদ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার কে?
উঃ- হ্যারি পাম ব্লুম।
63) জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরম্ন হয় কবে?
উঃ- ১৯৬৫ সালে।
64) জাতীয় সংসদ ভবনের ভূমির পরিমান কত?
উঃ- ২১৫ একর।
65) জাতীয় সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হয়?
উঃ- ২৮ জানুয়ারী, ১৯৮২।
66) জাতীয় সংসদ ভবন কত তলা বিশিষ্ট?
উঃ- ৯ তলা।
67) জাতীয় সংসদ ভবনের উচ্চতা কত?
উঃ- ১৫৫ ফুট।
68) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক কি?
উঃ- শাপলা ফুল।
69) জাতীয় সংসদ ভবন কে উদ্বোধন করেন?
উঃ- রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।
70) বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে বসে?
উঃ- ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮২।
71) বাংলাদেশের সংসদের মোট আসন সংখ্যা কতটি?
উঃ- ৩৫০ টি।
72) বাংলাদেশের সংসদের সাধারন নির্বাচিত আসন সংখ্যা কতটি?
উঃ- ৩০০ টি।
73) সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন স্যখ্যা কতটি?
উঃ- ৫০ টি।
74) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১ নং আসন কোনটি?
উঃ- পঞ্চগড়-১।
75) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসন কোনটি?
উঃ- বান্দরবান।
76) জাতীয় সংসদের কাস্টি ভোট বলা হয়?
উঃ- স্পিকারের ভোটকে।
77) সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ব্যবধান কতদিন?
উঃ- ৬০ দিন।
78) গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার বলবৎকরন কোন কোন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?
উত্তর: যথাক্রমে ১১ ও ৪৪ অনুচ্ছেদ।
79) সাধারন নির্বাচনের কতদিনের মধ্যে সংসদ অধিবশন আহবান করতে হবে?
উঃ- ৩০ দিন।
80) সংসদ অধিবেশন কে আহবান করেন?
উঃ- রাষ্ট্রপতি।
81) সংসদ অধিবেশনের কোরাম পূর্ন হয় কত জন সংসদ হলে?
উঃ- ৬০ জন।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
82) সংবিধান সংশোধনের জন্য কত সংসদ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়?
উঃ- দুই-তৃতীয়াংশ।
83) একাধারে কতদিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়?
উঃ- ৯০ কার্যদিবস।
84) গণ-পরিষদের প্রথম স্পিকার কে?
উঃ- শাহ আব্দুল হামিদ।
85) গণ-পরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পিকার কে?
উঃ- মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।
86) এ দেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাস কবে থেকে চর্চা শুরু হয়?
উঃ- ১৯৩৭ সালে।
87) কোন কোন বিদেশী প্রথম জাতীয় সংসদে ভাষণ দেন?
উঃ- যুগোশ্লেভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ টিটো-৩১ জানু, ১৯৭৪ এবং ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি.ভি. গিরি-১৮ জুন, ১৯৭৪।
88) বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নির্বাচিত একজন সদস্য নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন, তিনি কে?
উঃ- এডভোকেট আবদুল হামিদ।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
89) নির্বাচন কমিশন কার সমমর্যাদার অধিকারী?
উঃ- সুপ্রীম কোর্ট।
90) বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার কে?
উঃ- বিচারপতি এম ইদ্রিস।
91) বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে?
উঃ- কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ
92) নির্বাচন কমিশন কেমন প্রতিষ্ঠান?
উঃ- স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান।
93) “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল” কবে সংসদে পাশ হয়?
উঃ- ২৭ মার্চ, ১৯৯৬।
94) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?
উঃ- সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী)।
95) এডভোকেট আবদুল হামিদ বাংলাদেশের কততম প্রেসিডেন্ট?
উঃ- ২০তম।
বইওয়ালা বিসিএস সল্যুশন এর সাথেই থাকুন
96) বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
উঃ- তাজউদ্দিন আহমেদ।
97) শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের কততম প্রধানমন্ত্রী?
উঃ- ১৪ তম।
98) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হবে?
উঃ- ৩৫ বছর।
99) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হতে হবে?
উঃ- ২৫ বছর।
100) জাতীয় সংসদের সদস্য হতে হলে বয়স কমপক্ষে কত হতে হবে?
উঃ- ২৫ বছর।
101. প্রশ্ন: সংবিধান অনুযায়ী মালিকানা কয় ধরনের?
উত্তর: ৩
102. প্রশ্ন: মানুষের মৌলিক চাহিদা কতটি?
উত্তর: ৫
103. প্রশ্ন: যুদ্ধাপরাধীর বিচার সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি হলো--
উত্তর: ৪৭
104. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন” বলা আছে?
উত্তর: ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে
105. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলে পরিচিত হবেন?
উত্তর: ৬ (২)
106. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়?
উত্তর: ২৮
107. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর: ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
108. প্রশ্ন: গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় কোন তারিখ থেকে?
উত্তর: ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭২
109. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
উত্তর: দ্বাদশ
110. প্রশ্ন: চতুর্দশ সংশোধনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর: মহিলাদের সংরক্ষিত আসন
111. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নিযুক্তি দেন ?
উত্তর: ৫৬ (২) ধারা
112. প্রশ্ন: 'অর্থ বিল' সম্পর্কিত বিধানাবলী আমাদের সংবিধানের কোন আর্টিক্যালে উল্লেখ আছে?
উত্তর: ৮১ (১)
113. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্মকমিশন গঠিত হয়?
উত্তর: ১৩৭
114. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে কে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন?
উত্তর: জাতীয় সংসদ
115. প্রশ্ন: সংবিধানের কত ধারা অনুযায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল অধ্যাদেশ-২০০২ করা হয়েছে?
উত্তর: ৯৩ (১)
116. প্রশ্ন: 'প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' ঘোষণাটি বাংলাদেশ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে?
উত্তর: ৭
117. প্রশ্ন: সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ 'ন্যায়পাল' নিয়োগের বিধান আছে?
উত্তর: ৭৭ নং অনুচ্ছেদে
118. প্রশ্ন: ইংরেজীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাংবিধানিক নাম -
উত্তর: House of Nation
119. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে 'রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন' বলা আছে?
উত্তর: ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে
120. প্রশ্ন: সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বাধিক কতজনকে Technocrat মন্ত্রী নিয়োগ করা যায়?
উত্তর: এক-দশমাংশ
121. প্রশ্ন: সংবিধান বা শাসনতন্ত্র হচ্ছে -
উত্তর: রাষ্ট্রের মৌলিক আইন
122. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ (২) ধারায় বলা হয়েছে "সকল সময়ে ---- চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য"। শূন্যস্থানটি পূরণ কর।
উত্তর: জনগনের সেবা করিবার
123. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী জাতীয় সংসদের কোন তারিখে পাস হয়েছিল?
উত্তর: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫
124. প্রশ্ন: জরুরী অবস্থা জারির বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত হয় -
উত্তর: দ্বিতীয় সংশোধনীতে
125. প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা অন্যভাবে বিলি-ব্যবস্থা করার অধিকার থাকবে' বলে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সংবিধানের -
উত্তর: ৪২ নং অনুচ্ছেদ
126. প্রশ্ন: বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি -
উত্তর: সাংবিধানিক সংস্থা
127. প্রশ্ন: সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ১১৮ নং অনুচ্ছেদে
128. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন সংশোধনী দ্বারা বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রপতি পদ বিলুপ্ত করা হয়?
উত্তর: দ্বাদশ
129. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে কতটি ভাগ বা অধ্যায় আছে?
উত্তর: ১১ টি
131. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের ব্যাখ্যা দেয়া আছে কোন অনুচ্ছেদে?
উত্তর: ১৫২
132. প্রশ্ন: সংসদের 'বিশেষ অধিকার কমিটি' কোন ধরনের কমিটি?
উত্তর: সাংবিধানিক স্থায়ী কমিটি
133. প্রশ্ন: ইসলামকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৮৮
134. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের এখন পর্যন্ত (২০১৬) কতটি সংশোধনী আনা হয়েছে?
উত্তর: ১৬
135. প্রশ্ন: বাংলাদেশ সংবিধানের তফসিল কতটি?
উত্তর: ৭ টি
137. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত ধারায় শিক্ষার জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত আছে?
উত্তর: ১৭ নং ধারা
138. প্রশ্ন: বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারী করেন কে?
উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান
139. প্রশ্ন: বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সর্বপ্রথম কোন সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তন করা হয়?
উত্তর: ৮ম
140. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য -
উত্তর: বেগম রাজিয়া বানু
141) বাংলাদেশে কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত?
উঃ- সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র।
142) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কি?
উঃ- সংবিধান।
143) কোন দেশের কোন লিখিত সংবিধান নাই?
উঃ- বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও সৌদি আরব।
144) বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান কোন দেশের?
উঃ- ভারত।
145) বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সংবিধান কোন দেশের?
উঃ- আমেরিকা।
146. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং ধারায় প্রতিষ্ঠিত সংস্থা কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন
147. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক কে?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্ট
148. প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ভোটার তালিকার বিধান বর্ণিত আছে?
উত্তর: ১২১ নং অনুচ্ছেদে
149. প্রশ্ন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন -
উত্তর: দুই-তৃতীয়াংশ
এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা তিনটি মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত উসমানীয় বা অটোমান সাম্রাজ্য, দীর্ঘ ৬২৪ বছর ধরে স্থায়িত্ব ছিলো এই সাম্রাজ্যের। অটোমান সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বেশী দিন টিকে থাকা সাম্রাজ্য। দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, ইউরোপের হাঙ্গেরী থেকে রাশিয়ার ক্রিমিয়া, পূর্বে জর্জিয়া এবং জর্জিয়া থেকে দক্ষিণে আরবের ইয়েমেন, উত্তরে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়া ও আফ্রিকার শৃঙ্গ জুড়ে , মধ্যপ্রাচ্য ও আরব অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল অটোমান সাম্রাজ্য।
অটোমান সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন শুরু তুরস্কের আনাতোলিয়া থেকে। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের বাবা আর্তুগ্রুল গাজীই মূলত অটোমান সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর করে যান। আর্তুগ্রুল গাজী ছিলেন মঙ্গোলিয়ান বংশোদ্ভূত এক যোদ্ধা। তিনি এশিয়া মাইনর দিয়ে আনাতোলিয়া তে আসেন। তিনি যখন আনাতোলিয়া তে আসেন তখন এই অঞ্চলে বিভক্ত ছিল, এক অংশ দীর্ঘদিন যাবত বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। অপর অংশে আধুনিক তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে সেলজুক সাম্রাজ্য ছিল।
সেলজুক সাম্রাজ্যের তুর্কমান বা তুর্কি বংশোদ্ভূত সুলতান আলাউদ্দিনকে আর্তুগ্রুল এক যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য পুরস্কার হিসেবে তার সাম্রাজ্যের একটি অংশের শাসনকর্তা বানিয়ে দেন। আর্তুগ্রুল গাজীর মৃত্যুর পর এবং সেলজুক সাম্রাজ্য দিন দিন দুর্বল হয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণে আনাতোলিয়া বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আর্তুগ্রুল গাজীর ছেলে প্রথম উসমান তার শাসনাধীন অঞ্চল কে বৃদ্ধি করে ১২৯৯ সালে নিজেকে সুলতান হিসেবে ঘোষণা করেন, যাত্রা শুরু হয় পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জল প্রতাপশালী দীর্ঘস্থায়ী অটোমান সাম্রাজ্যের!
১৩০০ সাল থেকেই উসমান গাজী একে একে বিভিন্ন অঞ্চল জয় করতে থাকেন। নবগঠিত অটোমান রাজ্যের রাজধানী হিসেবে তিনি বেছে নেন ইয়েনিশেহিরক শহরকে। ১৩২১ থেকে ১৩২৬ সাল পর্যন্ত উসমানের বাহিনী মুদান্য়া বন্দর ও বার্সার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নেন। বার্সা জয় ছিলো উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। ইতিপূর্বে উসমান গাজী নানা যুদ্ধে কেবল বর্বর জাতিদেরর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিনি এমন এক শহরের দখল নিলেন যা ছিলো তখনকার যুগে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র। মূলত এই জয়ের মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইউরোপে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মানচিত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠে উসমানীয়রা।
এই জয়ের কিছু সময় পরে বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েন উসমান গাজী। তখন তার অসামাপ্ত কাজ সম্পাদনের ভার পরে বড় ছেলে ওরহান গাজীর হাতে। তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ে উসমানীয় বেয়লিক নামে পরিচিত উদীয়মান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় বে।
ওরহান গাজীর পর একে একে ক্ষমতায় আসেন সুলতান প্রথম মুরাদ , প্রথম বায়েজিদ, প্রথম মুহাম্মদ), দ্বিতীয় মুরাদ , দ্বিতীয় মুহাম্মদ এবং দ্বিতীয় মুরাদ। প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ্য যে, ১৪৫৩ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কনস্টান্টিনোপল জয় করেন। এই জয়ের মাধ্যমে অটোমানরা সুদীর্ঘ কাল ধরে রাজত্ব করে আসা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য উচ্ছেদ করেন।
উসমানীয় সাম্রাজ্য বিস্তৃতির যুগে প্রবেশ করে ১৫শ ও ১৬শ শতাব্দীতে। উসমানীয় সম্রাজ্যের ইতিহাসকে এই সময়টাকে সফলতার সর্বোচ্চ পর্যার ধরা হয়। এসময় নিবেদিত ও দক্ষ সুলতানদের শাসনের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্য সমৃদ্ধি লাভ করে। ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য রুটের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এই সাম্রাজ্য ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করে।
সুলতান প্রথম সেলিম পারস্যের সাফাভি সম্রাট প্রথম ইসমাইলকে পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত করেন। শুধু তাই না সুলতান প্রথম সেলিম মিশরে উসমানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং লোহিত সাগরে নৌবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন।
উসমানীয় সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ সফলতায় পৌছে সুলতান সুলেমান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে। তাকিয়ে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ট শাসক বলা হয়! যুবরাজ থাকাকালেই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। সেই সময় থেকেই তাঁর সততা ও যোগ্যতার কথা সবখানে আলোচিত হত। তিনি খলিফা হওয়ার পর সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সুলতান সুলেমান ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম। দৈনন্দিন জীবনে তিনি ইসলামের অনুশাসনগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন। সকল মুসলিম নাগরিক যাতে নিয়মিত নামাজ ও রোজা পালন করে সেই দিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল। নামাজ ও রোজা পালনে কেউ অলসতা দেখালে তাদের জন্য ছিল শাস্তির ব্যবস্থা।
তিনি অন্যান্য ধর্মানুসারীদের প্রতি ও উদার মনোভাব পোষণ করতেন। ইতিহাসবিদ লর্ড ক্রেজি বলেন, রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের অত্যাচার-অবিচারের যুগে সমসাময়িক অন্যকোন নরপতি সুলতান সুলাইমানের মত প্রশংসা অর্জন করতে পারেননি”। সুলতান সুলেমানের সাহসিকতা, মহানুভবতা, ন্যাপরায়ণতা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম ভূষণ। সুলতান সুলাইমান নাগরিকদের করভার লাঘব করেন। তিনি পবিত্র আল কুরআনের আটটি খন্ড নিজের হাতে কপি করে সুলাইমানিয়া মসজিদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া ও সুলতান সুলেমান পবিত্র কাবা ঘর ও সংস্কার করেন। সুলতান সুলেমান এর শাসনকালে ধর্মীয় কোন্দলের কারণে বিপদাপন্ন হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে যখন খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক তাঁর রাজ্যে আসেন তখন তিনি তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় দেন এবং তারা এখানে এসে নিরাপদে বসবাস করতে থাকে।
১৫২১ সালে সুলতান সুলেমান বেলগ্রেড জয় করেন। ১৫২৯ সালে তিনি ভিয়েনা অবরোধ করেন তবে এই শহর তিনি জয় করতে ব্যর্থ হন। ১৫৩২ সালে তিনি পুনরায় ভিয়েনা আক্রমণ করলে ও গুনসের অবরোধের পর তিনি ফের ব্যর্থ হন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের আরেকটি অর্জন ছিল একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি গঠন। সেসময় ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের শুরু......
অটোমান সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান হিসেবে সুলতান প্রথম সুলেমান যেমন সাম্রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাফল্যের চূড়ায়, তেমনি তার কিছু ভুল সিদ্ধান্তে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের বীজ বপন হয়ে যায়। ব্যক্তি হিসেবে সুলতান সুলেমান যেমন অভূতপূর্ব, নীতিবোধের ক্ষেত্রে ছিলেন তেমনি ত্রুটিহীন। তিনি রাজ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় মেধা ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন, সে কারণেই তার সময়ে পারগালি ইব্রাহিম পাশা, রুস্তম পাশা এবং সোকুলু পাশার মতো দক্ষ ও যোগ্য উজিরে আযম পেয়েছিল অটোমানরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুলতান সুলেমান এমন দুইটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা সাম্রাজ্যের ভাগ্যে দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে।
অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষ ও যোগ্য শাসক সুলেমান নিজের উত্তরসূরি নির্বাচন করতে গিয়ে বড় অদক্ষতার পরিচয় দেন। উত্তরসূরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের আবেগ এবং ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়ে তুচ্ছ অপরাধে বা বিনা অপরাধে তার বড় ছেলে শাহজাদা মুস্তাফা এবং ছোট ছেলে শাহজাদা বায়েজিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। কিন্তু তারা দুইজনেরই বাবার মতোই সাম্রাজ্য পরিচালনা ও বিস্তৃতি ঘটানোর মতো সমস্ত গুণাবলি ছিল। নিজের অন্ধদৃষ্টি ও ক্ষমার অযোগ্য কর্মের মাধ্যমে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান শাহজাদা সেলিমকে। যার মাধ্যমে রোপিত হয় অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসের বীজ, কারণ সেলিমের মধ্যে সুলতান সুলেমানের কোন গুণই ছিল না। এমনকি তিনি সুলতান হিসেবে মন্ত্রীপরিষদ ও প্রজাদের কাছে থেকে সম্মান লাভে ব্যর্থ হোন। রাষ্ট্র পরিচালনা, তরবারির চমকানি কোন কিছুর প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। তিনি সেরাগালিও প্রাসাদে বসে সাম্রাজ্যের কোন চিন্তা না করে মদ্যপান ও কবিতা রচনায় মশগুল থাকতেন। তার সময়েই অটোমানরা লেপান্তের যুদ্ধে ভেনেশীয়দের কাছে সবচেয়ে বড় পরাজয় বরণ করে।সুলতান সুলেমানের ৪৬ বছরের সুদীর্ঘ শাসন সম্ভব হয়েছিল তার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার কারণেই কিন্তু তার পরবর্তী যেসব সুলতান অটোমান সিংহাসনে বসেন তারা ক্রমাগত ভাবে অযোগ্যতার প্রমাণ দেন।সুলতান সুলেমানের পুত্র সুলতান দ্বিতীয় সেলিম পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘মদ্যপ সুলতান’ হিসেবে এবং তিনি মারা যান মদ্যপ অবস্থায় গোসলখানায় পড়ে মাথা ফেটে। সেলিমের পুত্র সুলতান তৃতীয় মুরাদ ছিলেন অর্থ ও নারীলোভী। তিনি একরাতে একাধিক নারীর সাথে রাত্রিযাপনও করেছেন। তার যেমন ছিল নারীলোভ, তেমনি ছিল স্বর্ণের লোভ। অর্থ-সম্পদের প্রতি তার লোভ এমনই ছিল যে সে ধনসম্পদের উপর শুয়ে ঘুমাতেন। মূল্যবান স্বর্ণের প্রতি লোভের কারণে ঘুষের প্রচলন শুরু হয় মহামারী আকারে। ঘুষের বিনিময়ে সাম্রাজ্যের দাপ্তরিক পদে অযোগ্য লোক দিয়ে ভরে গিয়েছিল।
তৃতীয় মুরাদের মৃত্যুর পর তার ছেলে তৃতীয় মাহমুদ ১৯জন ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন। তিনি অল্প কিছুদিনের রাজত্বে একটি যুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধে জয়ী ইস্তাম্বুলে ফিরে এসে প্রাসাদে নারী সঙ্গীদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেন কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে অল্প কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান। তার পরবর্তী শাসক সুলতান দ্বিতীয় আহমেদও ছিলেন মাথাগরম এবং খামখেয়ালি পূর্ণ এক মানুষ। তিনি সুলতান হিসেবে একক কোন সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হতেন যে কারণে অন্যরা সেই সুযোগে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করত।মাত্র ২৭ বছর বয়সে সুলতান দ্বিতীয় আহমেদের মৃত্যুর পর অটোমান সাম্রাজ্যের সিংহাসন কলঙ্কিত হয়। প্রথমবারের মত পিতার পরে পুত্র সিংহাসনে না বসে সিংহাসনে বসানো হয় সুলতানের মানসিক ভারসাম্যহীন ভাই মোস্তফাকে।
অটোমান সাম্রাজ্যের এত অধঃপতন হয়েছিল যোগ্য শাসকের অভাবে, একজন পাগলকে সিংহাসনে বসিয়ে সাম্রাজ্য পরিচালিত হতো হারেমের নারীদের মাধ্যমে। সুলতান সুলেমানের পর কোন যোগ্য শাসক না আসার কারণে সাম্রাজ্য বিস্তৃতির নীতি থেকে সরে আসে এবং সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে রাজ্য হারাতে থাকে। অটোমান সাম্রাজ্য পতনের যে কয়েকটি কারণ ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল যোগ্য শাসকের অভাব।
অটোমান সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সুলতান আবদুল হামিদ এর সময়ে এসে। ৩৪ বছর বয়সী আব্দুল হামিদ যখন মসনদে বসছিলেন তখন চারপাশে কট্টর ইহুদিবাদী ফ্রি-মিশন ও নব্য তুর্কিদের ছিল একক প্রাধান্য। ভারতীয় উপমহাদেশ সহ আরো অনেক মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে তখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে উপনিবেশিক ইহুদিবাদি শক্তি। সুলতান আব্দুল হামিদ তার শাসনামলের শুরুতে ইউরোপিয় চিন্তাধারার নব্য তুর্কি জাতীয়তাবাদী মতবাদের সম্মুখিন হন। তুর্কি জাতিয়তাবাদী আন্দোলন উসমানীয় সম্রাজ্যে কে প্রায় প্রাণশূণ্য করে ফেলছিল। উল্লেখ্য এই চিন্তাধারার উৎপত্তি ও পরবর্তীতে বিস্তারকারীরা ছিল ইহুদিবাদী থিওডোর হের্জল। তিনি ইহুটিরাষ্ট্র ইজরাইলের জনক।
থিওডোর হের্জল এর নেতৃত্বে ইহুদিরা যে কোন মূল্যে ফিলিস্তিনে তাদের একটি রাষ্ট্র স্থাপনে মরিয়া ছিল। সেক্ষেত্রে সুলতান আব্দুল হামিদই ছিলেন তাদের প্রধান বাধা। ইহুদিরা ফিলিস্তিনে তাদের জাতীয় নিবাস স্থাপনের শর্তে উসমানীয় সম্রাজ্যের সকল ঋণ পরিশোধের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সুলতান আবদুল হামিদ তা অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। শুধু তাইনা ইহুদিরা বায়তুল মুকাদ্দাস হস্তান্তরের জন্য ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি মুসলিম বিশ্বের একচুল মাটি ছাড়তেও রাজি হননি! এই পরিস্থিতিতে তারা অনুধাবন করতে থাকে সুলতান আবদুল হামিদ ই ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রধান বাধা। তাই ইহুদিরা শুরু করে সুলতানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
১৯০৬ সালে বিশ্বাসঘাতক আনোয়ার পাশা, তালাত পাশা ও জামাল পাশা ভিতরে ভিতরে সেনাবাহিনীর বিরাট একটি অংশকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসেন। ৩১শে এপ্রিল ১৯০৯ সালে ইহুদি লবি রাজধানিতে সুলতানের পক্ষে এক প্রতিবিপ্লব ঘটায়। যাতে নব্য তুর্কিদের কয়েক নেতা নিহত হয়। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এ সকল কিছুর জন্য সুলতানকে দায়ী করে তাকে অপসারণ করা হয়!
এই সবকিছুর পেছনে ছিল ইহুদি ফ্রি মিশন,নব্য তুর্কি জাতীয়তাবাদ ও সুলতানের বিশ্বস্ত কিছু পাশার বিশ্বাসঘাতকতা। সেই রাতেই তাকে স্যালোনিকায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে এক ইহুদির বাড়িতে কড়া নজরবন্দির মধ্যে রাখা হয়। এরপর তাকে ইস্তাবুলে এনে বায়লারবি প্রাসাদে রাখা হয়। এখানেই এই মহান সুলতান ২৮ রবিউল আউয়াল ১৩৩৬ হিজরি অর্থাৎ ১০ই ফেব্রুয়ারি ১৯১৮ সালে ৭৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আর এর ফলে ৬২৪ বছরের গৌরবান্বিত অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে!