উজিরপুর উপজেলাটি জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ২৫৯ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। উপজেলাটির আয়তন ২৩৯.৩২ বর্গ কিলোমিটার। এখানে বসবাস করে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৩০০ জন মানুষ। উজিরপুরের নামকরণ হয়েছিল মূঘল আমলের উজির মাহমুদের "উজির" পদবীর উপর নির্ভর করে।
উজিরপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যার ৭২শতাংশ মুসলিম, ২৪শতাংশ হিন্দু এবং ৪শতাংশ খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। উপজেলা জুড়ে ৪৬০ টি মসজিদ, ১০৫টি মন্দির ও ১৯টি গীর্জা রয়েছে। উজিরপুরের মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে পরিপূর্ণ করে তুলেছে উপজেলার পাশ ঘেষে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদী। উজিরপুর উপজেলার কৃষিজাত ফসলের মধ্যে পান উল্লেখযোগ্য।যা দেশব্যাপী বিখ্যাত। এই উপজেলার ৭৮ শতাংশ লোক শিক্ষিত। যা দেশের অন্যসব উপজেলা থেকে অনেক এগিয়ে। এখানে রয়েছে ১৮০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।আরও রয়েছে ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১৩টি কলেজ ও ২৩টি মাদরাসা।
তৎকালীন সময়ের প্রভাবশালী জমিদার আগা বাকের খানের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়। ১৮০১ সালের ১লা মে স্যার জন শ্যোর এ জেলার সদর দপ্তর বর্তমানে বরিশাল শহরে স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীতে বরিশাল নামেই এ জেলা পরিচিতি পায়। ১৮১৭ সালে এই জেলা একটি কালেক্টরেটে পরিণত হয়।
পাকিস্তান আমলেই পটুয়াখালী মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
সাক্ষরতার হারের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে। জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ, হার প্রায় ৭৯। এর পরে রয়েছে বরিশাল, ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বরিশাল জেলা আমড়া এর জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া বরিশালকে বাংলার ভেনিস বলা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে বাকি চারটি মহকুমা জেলায় রূপান্তরিত হয় এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠী এই ছয়টি জেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারি বরিশাল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।