ভানুবিল কৃষকপ্রজা আন্দোলন কমলগঞ্জের সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলা ১৩০৭ সনে সংঘটিত এই ঘটনায় মণিপুরী কৃষকরা ব্রিটিশ ও তাদের পোষ্য জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৯৪৭সালের পূর্ব অবধি ভানুগাছ সিলেট ও কমলপুরের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসাবে কাজ করতো। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি ছিলো এই ভানুগাছ পরগনার বুক চিড়ে। যুগ যুগ ধরে এলাকা পূর্ব ভারতের খাদ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিতি ছিল,এলাকায় উৎপাদিত চায়ের কদর ছিলো মহারানী ভিক্টোরিয়ারও রন্ধন শালা পর্যন্ত।
৪৭ এ দেশ ভাগের সময় তৎকালীন দক্ষিণ সিলেট মহকুমা পূর্ববঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হলে স্বাভাবিক নিয়মেই সেই সময়ের ভানুগাছ পরগনা তথা কমলগঞ্জ থানা পূর্ববঙ্গের একটি সীমান্ত এলাকায় পরিণত হয়। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই সময়ের শিল্প শহর ভানুগাছ অতি দ্রুত একটি অবহেলিত ও অনুন্নত এলাকা হয়ে উঠে। ৪৭ উত্তর সময়ে এই এলাকাটি নিষ্প্রভ হয়ে গেলে জন মানসে তীব্র একটা অসন্তোষ দানা বাধে আর এই সময়ে উক্ত এলাকার মানুষের অধিকার আদায় ও এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন আলহাজ্জ্ব মো. কেরামত আলী।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী