কলাপাড়া দক্ষিনাঞ্চলের একাট অন্যতম বানিজ্য কেন্দ্র। এই এলাকায় প্রচুর ধান উৎপাদিত হয়। এই ধান থেকে চাল উৎপাদনের জন্য বেশ কিছু রাইস মিল গড়ে উঠেছে। পটুয়াখালী জেলার এক মাত্র অটো রাইস মিল কলাপাড়ায় অবস্থিত। এ অঞ্চলের চাহিদা মেটানোর পরে প্রচুর পরিমানে ধান সড়ক ও নদীপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করা হয়। এ অঞ্চল সামদ্রিক মাৎস সম্পদে সমৃদ্ধ। এ অঞ্চলের নদী ও সমুদ্রে প্রচুর পরিমানে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ ধরা পড়ে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর প্রচুর পরিমানে মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক গুলো বরফ মিল এবং একটি কোল্ডস্টোরেজ। মৎস্য আহরন ও বিপণনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টরের অধীন তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা একটি সাব-সেক্টর। পটুয়াখালী-বরগুনার ১০টি থানা নিয়ে গঠিত এই পটুয়াখালী সাব-সেক্টর।
১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম।
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দই, বাপ্পি এবং কুয়াকাটা জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলাটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, এটি আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ৩২২০.১৫ বর্গ কিমি।
দীর্ঘ ৮ মাস পাক-হানাদারদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় এই জেলা। এইদিনে একদিকে স্বজন হারানোর বিয়োগ ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস । হৃদয় উজাড় করে বরণ করে নেয় পটুয়াখালীবাসী হানাদার মুক্ত এই দিনটিকে।