দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত, নির্মল বায়ু ও দূষণমুক্ত উম্মুক্ত জলাধার- খাল-বিল, নদী-নালা কাঠালিয়া উপজেলাকে প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বিষখালী নদীতে প্রাপ্ত সুস্বাধু ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। এ উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদীতে প্রাপ্ত তপসে, পোয়া, কাঠালি চিংড়ি, কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, আইর, বোয়াল ইত্যাদি মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরিত হয়।এ উপজেলার লবণাক্ত মাটিতে বহুল পরিমানে উৎপাদিত নারিকেল ও সুপারি এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল। সুগন্ধি ও চিকন জাতের মৌলতা, দুধকলম ও রাজাসাইল চালের চাহিদাও রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে ঝালকাঠি শহরকে জেলা শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়।
একাত্তরের ২৩ নভেম্বর ৯নং সেক্টরের মধ্যে এ জনপদ সবার প্রথম হানাদার মুক্ত হয়েছিলো।
নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন।
ঝালকাঠির জনপ্রিয় খাবার: ঝালকাঠি প্রাকৃতিক ফল যেমন আম, কলা, জলপাই, কাঠাল, তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা।
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১ মিটার। ঝালকাঠী শহর ঢাকা থেকে ১৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২০ কি.মি. পশ্চিমে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত। সুগন্ধা নদী থেকে বাসন্ডা খাল নামে একটি শাখা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে শহরকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। শহরের ভিতরে আরও ১২টি খাল প্রবহমান রয়েছে।