কানাইঘাট উপজেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব কারা?
29th Dec 2022 | সিলেট জেলা |
কানাইঘাট উপজেলায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব :
- ইসমাঈল আলম (১৮৬৮-১৯৩৭) - বাংলাভাষী উর্দু কবি, স্বাধীনতা-সংগ্রামী এবং ভাষাবিদ।
- ইবরাহীম আলী তশনা (১৮৭২-১৯৩৩) - সমাজ-সংস্কারক, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ও খিলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা;
- ইব্রাহীম চতুলী- একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ১৯৩৮ সালে জমিয়তে উলানায়ে হিন্দ থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসাম প্রাদেশিক পরিষদের শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
- আল্লামা মুশাহিদ বায়ামপুরী (১৯০৭-১৯৭১) পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (সংসদ সদস্য), আলেম, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক।
- আব্দুস সালাম মিনিস্টার (১৯০৬-১৯৯৯)- পূর্ব পাকিস্তানের রাজস্ব ও ভূমি প্রশাসন মন্ত্রী
- হাবিবুর রহমান (তোতা মিয়া) –স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনের সাংসদ।
- আব্দুর রব ক্বাসিমি (১৯০২-১৯৯২) - একজন দেওবন্দী আলেম, জৈন্তা এলাকায় শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি।
- মাওলানা ওলিউর রহমান (১৯১৬-২০০৬)- একজন আলেম, সমাজ সংস্কারক, লেখক ও মুসলিম নারীশিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত। নারীশিক্ষা আন্দোলনে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে।
- ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী - ইসলামি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। ২৩৩ নং (সিলেট-৫) আসন থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ-এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
- হারিস চৌধুরী- একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী ছিলেন।
- আব্দুল বারি (১৮৪৮-১৯২৩) - একজন দেওবন্দী আলিম, ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
- এহসান-ই- এলাহী খোকন, সচিব, শ্রম মন্ত্রণালয়। তিনি কানাইঘাট তথা জৈন্তাপুরের প্রথম ব্যক্তি যিনি সচিব হন।
- শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রহীম, সাবেক প্রিন্সিপাল, গাছবাড়ী জামিউল উলূম কামিল মাদ্রাসা
- অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ তাহির, সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- অধ্যাপক ডাক্তার মাঈনুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- পীরে কামেল আল্লামা হরমুজ উল্লাহ, আমীর তাবলীগ জামায়াত এবং সাবেক প্রিন্সিপাল, গাছবাড়ী জামিউল উলূম কামিল মাদ্রাসা
Related
সিলেট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
সিলেট জেলা কমলালেবু, চাপাতা, সাতকড়ার আচার এবং সাত রঙের চা এর জন্য বিখ্যাত। সিলেট জেলাটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
Related
মৌলভীবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
Related
সিলেট কোন জনপদের অন্তর্গত ছিল?
ইতিহাস গবেষক দেওয়ান নুরুল আনওয়ার জালালাবাদের কথা গ্রন্থে লিখেছেন খ্রিস্টিয় সপ্তম শতক পর্যন্ত সিলেট কামরুপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
Related
সিলেট নামকরণ কোথায় থেকে হলো?
সবচেয়ে প্রচলিত ধারণাটি হলো, শিলা মানে পাথর। আর পাথরের প্রাচুর্যের কারণেই এ এলাকার নাম সিলেট। এ ধারণার পালে আর একটু হাওয়া দিয়ে বলা হয়ে থাকে, সিলেট শব্দের অনুসর্গ সিল মানে শীল বা পাথর আর উপসর্গ হেট মানে হাট বা বাজার। প্রাচীনকাল থেকে এ জেলায় পাথর ও হাটের আধিক্য থাকায় শব্দ দু'টি মিলে সিলেট নামের উৎপত্তি।
Related
সিলেট জেলার ভৌগোলিক সীমানা
সিলেট জেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪° ৪০’ থেকে ২৫° ১১’’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১° ৩’’ থেকে ৯২° ৩’’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় ও খাশিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়, পূ্র্বে ভারতের আসাম, দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা ও পশ্চিমে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত। এই জেলার আয়তন ৩,৪৯০.৪০ বর্গ কিমি। বাৎসরিক সর্বচ্চো তাপমাত্রা ৩৩.২° সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬° সেলসিয়াস। বাৎসরিক বৃষ্টিপাত ৩৩৩৪ মিলিমিটার। প্রধান নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। হাওড় সংখ্যা ৮২ টি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ২৩৬.৪২ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের খাশিয়া-জয়ান্তা পাহারের কিছু অংশ এই জেলায় পরেছে। এছাড়াও কিছু ছোট পাহাড় ও টিলা রয়েছে এখানে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জৈন্তাপুর (৫৪ মাইল), সারি টিলা (৯২ মাইল), লালখান টিলা (১৩৫ মাইল), ঢাকা দক্ষিণ টিলাসমূহ (৭৭.৭ মাইল)।