কুমিল্লা জেলা উপজেলা ১৭ টি
বর্তমান কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন একটি জেলা। প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে যতদূর জানা যায় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল। ঐতিহাসিকদের মতে সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৌদ্ধ দেববংশ রাজত্ব করে। নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা হরিকেলের রাজাগণের শাসনাধীনে আসে। প্রত্নপ্রমাণ হতে পাওয়া যায় যে, দশম হতে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছর এ অঞ্চল চন্দ্র রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছে।
মধ্যবর্তী সময়ে মোঘলদের দ্বারা শাসিত হওয়ার পরে ১৭৬৫ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে আসে। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দ প্রদেশে একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে। তখন কুমিল্লা ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে কুমিল্লাকে কালেক্টরের অধীন করা হয়। ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা গঠনের মাধ্যমে ত্রিপুরা কালেক্টরেটের যাত্রা শুরু হয়। ১৭৯৩ সালে তৃতীয় রেগুলেশন অনুযায়ী ত্রিপুরা জেলার জন্য একজন দেওয়ানি জজ নিযুক্ত করা হয় এবং সে বছরই তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৩৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরের পদগুলিকে পৃথক করা হয়। ১৮৫৯ সালে আবার এই দুটি পদকে একত্রিত করা হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ হয় ডেপুটি কমিশনার। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু'টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
মোট জনসংখ্যা |
৫৩,৮৭,২৮৮ জন |
পুরুষ |
২৫,৭৫,০১৮ জন |
মহিলা |
২৮,১২,২৭০ জন |
জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কি:মিঃ) |
১৭১২ জন (প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ) |
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ |
১.৫৮% (প্রায়) |
নাম |
জীবনকাল |
---|---|
মহারাজ বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর |
১৮৩৭-১৮৯৬ |
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী |
১৮৩৪-১৯০৩ |
হর দয়াল নাগ |
১৮৫৩-১৯৪২ |
মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য |
১৮৫৮-১৯৪৩ |
নওয়াব স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা |
১৮৬২-১৯২২ |
রায়বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় |
১৮৬৩-১৯২০ |
সৈয়দ আবদুল জববার |
১৮৬৭-১৯৫১ |
নওয়াব সৈয়দ হোচ্ছাম হায়দার চৌধুরী |
১৮৬৮-১৯২১ |
অখিল চন্দ্র দও |
১৮৬৯-১৯৫০ |
খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী |
১৮৮০-১৯৬১ |
আবদুর রসুল |
১৮৭০-১৯১৭ |
খান বাহাদুর আবদুল করিম |
১৮৭৩-১৯৪৫ |
নওয়াব মোশাররফ হোসেন |
১৮৭৬-১৯৬৬ |
বসন্ত কুমার মজুমদার |
১৮৭৬-১৯৪৪ |
নরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত |
১৮৭৮-১৯৬২ |
কামিনী কুমার দত্ত |
১৮৭৯-১৯৫৯ |
শচীন দেববর্মন |
১৯০৬-১৯৭৫ |
ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত |
১৮৮৬-১৯৭১ |
ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত |
১৮৮৪-১৯৪৯ |
হেম প্রভা মজুমদার |
১৮৮৮-১৯৬২ |
নওয়াব স্যার কে,জি,এম, ফারুকী |
১৮৯০-১৯৮৪ |
আশরাফউদ্দিন আহমদ চৌধুরী |
১৮৯৩-১৯৭৬ |
অতীন্দ্র মোহন রায় |
১৮৯৪-১৯৭৯ |
শহীদুল হক |
১৮৯৪-১৯৬৮ |
খান বাহাদুর মফিজউদ্দিন আহমদ |
১৮৯৮-১৯৭৯ |
আবদুল মালেক |
১৮৯৮-১৯৬৫ |
হাবিবুর রহমান চৌধুরী |
১৮৯৯-১৯৭২ |
এ, কে, এম, জহিরুল হক (লীলমিয়া) |
১৯০৩-১৯৮১ |
ড. আখতার হামিদ খান |
১৯১৪-১৯৯৯ |
মেজর আবদুল গণি |
১৯১৫-১৯৫৭ |
ডঃ মুজিবর রহমান খান |
১৯২৫-১৯৮২ |
কুমিল্লা জেলা ২৩°০১' থেকে ২৩°৪৭' ৩৬" উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯০°৩৯' থেকে ৯১°২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত।
কর্কটক্রান্তি রেখা কুমিল্লা জেলা অতিক্রম করেছে।
সীমানাঃ উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে ফেনী ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা।
আয়তনঃ ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত দৈর্ঘ্যঃ ১০৬ কিলোমিটার
কুমিল্লা জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শণীয় স্থানগুলো
# | শিরোনাম | স্থান | কিভাবে যাওয়া যায় | যোগাযোগ |
---|---|---|---|---|
১ | উটখাড়া মাজার |
দেবিদ্বার সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণে এবং কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। |
দেবিদ্বার শহর হতে রিকসা যাওয়া যায়। |
0 |
২ | নূর মানিকচর জামে মসজিদ |
নুরমানিকচর, দেবিদ্বার, কুমিল্লা। 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক' এর নূরমানিকচর বাস স্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। |
'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক' এর নূরমানিকচর বাসস্টেশন থেকে রিক্সা যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৩ | বায়তুল আজগর জামে মসজিদ |
গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়ন, দেবিদ্বার, কুমিল্লা। 'গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদটি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবিদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবিদ্বার সদর থেকে দু'কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত। |
দেবিদ্বার বাসস্ট্যান্ড থেকে রিক্সা বা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৪ | বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) |
কুমিল্লা শহর হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত। |
কুমিল্লা শহর হতে সিএনজি যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৫ | বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন |
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে অবস্থিত। |
রিক্সা যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৬ | ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি |
কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে বুড়িচং উপজেলার কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত। |
কুমিল্লা শহর হতে বাস, অটো রিকশা ও সিএনজি যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৭ | শালবন বৌদ্ধ বিহার |
কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত। |
কুমিল্লা শহর হতে সিএনজি যোগে যাওয়া যায়। কুমিল্লা সেনানিবাস বাসস্ট্যান্ড হতে সিএনজি, রিক্সা যোগে যাওয়া যায়। |
0 |
৮ | শাহ সুজা মসজিদ |
কুমিল্লা শহরের মোগলটুলী এলাকায় (আদর্শ সদর উপজেলা)। |
রিক্সা যোগে যাওয়া যায়। |
0 |