কুষ্টিয়া জেলার আকর্ষণীয় স্থান সমূহ কী কী?
20th Dec 2022 | কুষ্টিয়া জেলা |
কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল। এখানে দেখার মত অনেক স্থান রয়েছেঃ
- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী - কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে;
- ফকির লালন সাঁইজির মাজার - বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেউড়িয়া গ্রামে;
- টেগর লজ - কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত এই দোতলা ভবনটি;
- পরিমল থিয়েটার - কুষ্টিয়া শহরের স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ,যা বর্তমানে একটি শপিং মলে পরিণত হয়েছে;
- গোপীনাথ জিউর মন্দির - নলডাঙ্গার মহারাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় কর্তৃক দানকৃত জমির উপর নির্মিত;
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা - বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত;
- পাকশী রেল সেতু - কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু;
- লালন শাহ সেতু - কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর উপর নির্মিত "লালন শাহ" সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু।
- ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ - চারশো বছরের পুরনো ঝাউদিয়া শাহী জামে মসজিদ, নবাব শায়েস্তা খানের আমলে নির্মিত।
- পদ্মা-গড়াই মোহনা - কুষ্টিয়া শহরের অদূরেই রয়েছে পদ্মা গড়াই নদীর মোহনা, অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ স্থানটি বরাবরই পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে
- স্টেডিয়াম খুলনা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে শেখ কামাল স্টেডিয়াম যা ১৩ একর জমির উপর ২০২৩ সালে উদ্বোধন হতে পারে নির্মাণাধীন
- এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলাতেই রয়েছে দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কুমারখালি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, দেশের প্রথম রেলস্টেশন জগতি রেলস্টেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভার চত্বর দেশের প্রথম রেলসেতু গড়াই রেলসেতু, দেশের প্রথম রেললাইন, কুষ্টিয়ার বৃহত্তম বিল চাপাইগাছী-নান্দিয়ার বিল, স্বস্তিপুর শাহী জামে মসজিদ, 'গোল্ডেন ভিলেজ' খ্যাত দৌলতপুরের পঁচিশটি গ্রাম, বারাদি টেরাকোটা মঠ, খোকসা ফুলবাড়ি মঠ, গড়াই পাড়,শেখ রাসেল সেতু, উপমহাদেশের একসময়ের বৃহত্তম বস্ত্রকল মোহিনী মিল ইত্যাদি।
Related
মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া কত নম্বর সেক্টরে ছিল?
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
Related
কুষ্টিয়া জেলা বিখ্যাত কেন?
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
Related
কুষ্টিয়া শব্দের অর্থ কী?
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
Related
কুষ্টিয়া জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।