কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত। সৈয়দ মর্তুজা আলীর মতে কোষ্টা (পাট) থেকে কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার নাম নদীয়া ছিল। প্রশাসনিক অসুবিধার জন্য তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ইতিহাসবিদ সৈয়দ মর্তুজা আলী জেলা সদরের নামানুসারে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার নাম প্রচলন করেন। স্থায়ীভাবে লোক মুখে কুষ্টিয়াকে কুষ্টে বলে। ৬টি উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া জেলার অতীত, বর্তমান, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, রাজনীতি, শিল্প বাণিজ্যসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছ।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।