ব্যবসা - বাণিজ্যের দিক থেকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৮৬২ সালে কলকাতার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে নদী পথে ও রেল পথে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে কুষ্টিয়ার যোগাযোগ সুবিধাজনক থাকায় ব্যবসা - বাণিজ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় প্রায় ৩০০টি চালের মিল রয়েছে। মিলগুলো থেকে উৎপাদিত চাল দেশের অভ্যন্তরের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রায় ২৫% লোক ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত। এছাড়া কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় অবস্হিত বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পণ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। বর্তমানে কুষ্টিয়া ৩% শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন তা বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব্বনিম্ন।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।