বর্তমান কুষ্টিয়া জেলায় চেয়ে নির্ভুল ভাষা উচ্চরণভঙ্গি একমাত্র যশোর জেলা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় পাওয়া যায় না। কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার সাধারণ মানুষ বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র টানে উচ্চারণ করে থাকে। অত্র উপজেলায় বাংলা ভাষা অত্যন্ত স্পষ্ট, উচ্চারণে জড়তাহীন, শ্রুতিমধুর এবং সকলের নিকট সহজে বোধগম্য।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সাংস্কৃতিক অবদান। লোকসংস্কৃতি বা গ্রামীণ সংস্কৃতি নানাভাবে সূদীর্ঘকাল ধরে পুষ্টি লাভ করছে। নানা উৎসব আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের গীত,গান, বাজনা, কবিগান, ভাবগান, পুঁথিপাঠ, কৃষানের মেঠো গান, যাত্রা, সার্কাস, পাঁচালী, অষ্টকগান, পদ্মপূরানের গান সর্বদা মুখরিত করে রেখেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এখানে বাউল গান , পালা গান, আড়ং ও মেলা, পুতুল নাচ, নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।