১৮০২ সালে কেশবপুর নামটি প্রথম শোনা যায়। যশোর তালা সড়ক ঐ সময় তৈরী হচ্ছিল। কেশবপুর খালের উপর জিতরাম সাহা (১৮৬০) একটি পুল তৈরী করেন। চার বছর পর কেশবপুর থানায় উন্নীত হয়। খালের উত্তর দিকে হাট বসতো পরে তা দক্ষিণ পাশেও বসে। প্রাচীন হাট অংশের মালিক ছিলেন সুখময় মুখার্জী এবং নবীন হাট অংশের (আলতাপোল) অতীত কেশব পাটনির জায়গায় সত্ববান ছিলেন সুখসিন্ধু ও সুধাসিন্ধু ব্যানার্জি। উভয়েই প্রবাসীদের সুবাদে এ জমি পান। দু’দলের বিরোধ চরমে উঠলে নড়াইল জমিদার হসত্মক্ষেপ করেন এবং অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
পুরানো হাটকে বার আনা এবং নতুন হাটকে চার আনা হাট বলা হত। কেশবপাটনির নাম ধরে থানার নাম হয় কেশবপুর। বৃটিশ-ভারতে মীর্জানগর এক সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। ১৭৮১ সালে যশোর জেলা ঘোষণা কালেও যে থানার নাম ইতিহাসে আছে। এটি যশোর জেলার দ্বিতীয় বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। উল্লেখ করার মত (১৭৬৪-৭২) রেনেল ম্যাপে কেশবপুর নাম ছিল না। বৃটিশ-ভারত বিল্পবের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এখানকার পাজিয়া।
যশোর জেলা খই, খেজুর গুড় ও জামতলার মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া যশোর জেলাটিকে বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী বলা হয়।
যশোরের বিখ্যাত খাবার হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।হকদানা, ছাক্কা, ডিমের খাট্টা, কাঁঠালের বিচি দিয়ে কুকড়োর (মুরগি) মাংস, চুই ঝাল খাসির মাংস যশোর অঞ্চলের শত বছরের রান্নার ইতিহাসকে সমুজ্জ্বল রেখেছে। যশোরের প্রায় সবার প্রিয় খাবার ঘাটকোল। প্রচলিত নাম ঘেঁটকচু।
জামতলার মিষ্টি হলো বাংলাদেশের যশোর জেলার জামতলা বাজারে উৎপন্ন একটি বিখ্যাত মিষ্টি। এটি ছানা দিয়ে তৈরি গোলাকৃতির একটি মিষ্টি যা ঘন চিনির রসে ডুবানো থাকে। এই মিষ্টি রসগোল্লার একটি প্রকরণ। এটি দেখতে কিছুটা লালচে বা বাদামী রংয়ের হয়ে থাকে। জামতলা বাজারের সাদেক আলী নামক জনৈক ব্যক্তি এই মিষ্টি তৈরি করেন বলে এটি সাদেক গোল্লা নামেও পরিচিত।
যশোর কে ফুলের রাজধানী বলা হয় কেননা যশোরের গদখালি থেকে বাংলাদেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল যশোরে অবস্থিত। যশোরে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যশোর বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল যা এখন আন্তর্জাতিকীকরণের কাজ চলছে।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে গৌড়ের শাসনকর্তা দাউদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী শ্রীহরি ১৫৭৪ সালের যশোরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন যশোর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।