কয়রা উপজেলায় রয়েছে অনেকগুলো নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে-
শিবসা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৮৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৫১০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক শিবসা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৮৮। নদীটি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা, দাকোপ উপজেলা এবং কয়রা উপজেলার মাঝে অবস্থিত।
পশুর নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪২ কিলোমিটার, প্রস্থ ২৬০ থেকে ২.৫ কিলোমিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পশুর নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৫১।এটি গঙ্গা জলপ্রবাহের একটি ধারা। এটি খুলনা জেলা এবং বাগেরহাট জেলার মাঝে অবস্থিত। এটি মূলত জোয়ার ভাটার পানি বহন করে।এটি সুন্দরবন এর কাছে শিবসা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগরের কাছে কুঙ্গা নদী নামে পরিচিত।এটি বাংলাদেশে গভীরতম নদীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কপোতাক্ষ নদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্যতম বড় নদ। নদীটি চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় । বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কপোতাক্ষ নদের প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ২৩৮ ।
বল নদী (Ball River) খুলনা জেলার শিবসা নদী থেকে উদ্ভূত। এটি বের হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অর্পণগাছিয়া নদীতে পতিত হওয়ার পর উভয়ের মিলিত স্রোতধারা মালঞ্চ নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। নদীটি যেমন গভীর তেমনি খরস্রোতা। স্রোতের প্রবল বেগ ও তান্ডবলীলার জন্যই সম্ভবত নদীটির নাম বল হয়েছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া নদী বা আরপাঙ্গাশিয়া নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত অন্যতম নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৩২ মিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক অর্পণগাছিয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৬।
খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বিভাগকে সাদা সোনার দেশ ও বলা হয়. খুলনা - সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল এবং গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত।
খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
খুলনার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে চুইঝালের খাসির মাংস অন্যতম৷ আর এটার পুরোপুরি স্বাদ নিতে হলে আপনাকে যেতে হবে খুলনার অদূরে চুকনগর নামক স্থানে অবস্থিত বিখ্যাত আব্বাস হোটেলে।
খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। খুলনা: ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও দেশের কোনো কোনো জায়গা তখনো হানাদারমুক্ত হয়নি। খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরদিন দুপুরে খুলনার পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।