খুলনা জেলার উল্লেখযোগ্য খেলাধূলার তথ্যাবলী
জেলার বিশেষ উল্লেখযোগ্য খেলার নাম ও বিবরণঃ ফুটবল, ক্রিকেট, এ্যাথলেটিক্স, কাবাডি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, দাবা, ব্যাডমিন্টন,
টেবিল টেনিস, ভার উত্তোলন, বক্সিং, কুস্তি, জুডো, কারাতে, খো-খো, সাঁতার, হকি ইত্যাদি। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য নৌকা বাইচ, লাঠিখেলা, দাড়িয়াবাধা, হা ডু ডু ও সাইক্লিস্ট দীলিপের বিভিন্ন ধরণের সাইকেল ক্রীড়া শৈলী
উল্লেখযোগ্য।
·খেলাধূলার স্থানঃ খুলনা জেলা স্টেডিয়াম, শেখ আবু নাসের বিভাগীয় স্টেডিয়ামসহ জেলার বিভিন্ন খেলাধূলার উপযুক্ত স্থানে
খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
·খেলাধূলার জন্য বিভিন্ন ষ্টেডিয়াম, মাঠ এবং এর অবস্থানসমূহঃ বর্তমানে জেলা শহরে ২টি ষ্টেডিয়ামসহ প্রায় ১৫ টি খেলার
মাঠ আছে। এর মধ্যে শেখ আবু নাসের বিভাগীয় ষ্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃত। প্রত্যেক উপজেলা
সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ছোট-বড় প্রায় ১০০টির অধিক খেলার মাঠ আছে।·জেলায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন খেলাসমূহঃ বর্তমান বছর হতে ফুটবল খেলা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন (ডি. এফ. এ) কর্তৃক
অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এককভাবে আয়োজন করত। ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, কাবাডি, দাবা, ভলিবল,
এ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, কারাতে, জুডো, ভারউত্তোলন, কুস্তি, বক্সিং, ইত্যাদি খেলা জেলা ক্রীড়া
সংস্থা কর্তৃক নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া হকি, সাঁতার, খো-খো, নৌকা বাইচ, দাড়িয়াবাঁধা, লাঠি খেলা, হাডু-ডু, ইত্যাদি
খেলা প্রচলিত আছে। উপজেলাগুলোতে ফুটবল, ভলিবল, কাবাডি টূর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ক্রীড়া অফিস কর্তৃক খেলোয়াড়
সৃষ্টিরলক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে ৮টি (ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, এ্যাথলেটিকস, সাঁতার, হকি, ক্রিকেট ও কাবাডি) খেলার ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়।
উপর্যুক্ত খেলাগুলো পূর্ব হতেই প্রচলিত আছে। তবে খো-খো ১৯৯৮ সালে এবং মহিলা ক্রিকেট বিগত ২০০৩ সালহতে শুরু হয়।
অত্র জেলার মহিলা ক্রিকেট খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায় বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া স্কুল পর্যায়
কয়েকটি স্কুল জাতীয় পর্যায় খেলাধূলায় সুনাম অর্জন করেছে।
প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রদের জন্য ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ের মহিলা ক্রিকেট দলে কোচসহ ছয়জন খেলোয়ার খুলনা জেলা থেকে অংশ গ্রহণ করেছে।
খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বিভাগকে সাদা সোনার দেশ ও বলা হয়. খুলনা - সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল এবং গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত।
খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
খুলনার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে চুইঝালের খাসির মাংস অন্যতম৷ আর এটার পুরোপুরি স্বাদ নিতে হলে আপনাকে যেতে হবে খুলনার অদূরে চুকনগর নামক স্থানে অবস্থিত বিখ্যাত আব্বাস হোটেলে।
খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। খুলনা: ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও দেশের কোনো কোনো জায়গা তখনো হানাদারমুক্ত হয়নি। খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরদিন দুপুরে খুলনার পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।