The Ballpen
খুলনা জেলায় বিশেষ অর্জন - theballpen

খুলনা জেলায় বিশেষ অর্জন

22nd Dec 2022 | খুলনা জেলা |

খুলনা জেলার উল্লেখযোগ্যঅর্জন

গ্রন্থ প্রকাশ

০১। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগেপ্রথমবারের মত ঐতিহ্যবাহী খুলনা জেলার ১২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হলো ২৫ এপ্রিল ২০০৯ খ্রিঃ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে খুলনার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই উদ্যেগ জেলা প্রশাসনকে জনপ্রিয় করে তোলে। খুলনার ইতিহাস ও ঐহিহ্যের উপর করে “ইতিহাস ও ঐতিহ্যে খুলনা জেলা, খুলনা দিবস-২০০৯ নামে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। খুলনা জনপদের জীবন ও জীবিকা, ভূ-প্রকৃতি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, জনসমাজ, বনাঞ্চল ও বনজ সম্পদ, পশুপাখি ও মৎস্য সম্পদ, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রশাসন ব্যবস্থা, পুরাকীর্তি ও পুরাকাহিনী, রাজনৈতিক আন্দোলন ও ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, থানা ও উপজেলা সৃষ্টির ইতিহাস, বুদ্ধিজীবি প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রচনায় ঋদ্ধ হয়ে প্রকাশিত হয় “ইতিহাস ও ঐতিহ্যে খুলনা জেলা”গ্রন্থটি।এই গ্রন্থটি প্রকাশের মাধ্যমে এ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহীদের তৃষ্ণা মিটাতে বিশেষ অবদান রাখা হয়েছে।

০২। খুলনা জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্ববধানে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সহধর্মিনী মৃণালিনী দেবীর স্মৃতিবিজড়িত দক্ষিণডিহিতে কবির জন্মজয়ন্তী এবং লোকমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠনে অংশগ্রহণ করেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দ, রবীন্দ্র গবেষক, শিল্পী, কলা-কুশলী ও অগণিত রবীন্দ্রভক্ত। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে প্রাণ ফিরে পায় দক্ষিণডিহির এই নিভৃত পল্লী। এই স্মৃতিময় দিনগুলো স্মরণীয় করে রাখতেই প্রকাশিত হলো “রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণিকা”। শুধু স্মৃতিময়তাই নয়, প্রতি বছর জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে প্রকাশিত এই স্মরণিকাটি রবীন্দ্র গবেষণা পত্রিকার সম্মানঅর্জন করেছে। কারণ দক্ষিণ বাংলার অনেক রবীন্দ্রপ্রেমী, গবেষকদের লেখনী স্মরণিকার উৎকর্ষ সাধনে সক্ষম হয়েছে।

ঘূর্নীঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে ত্রান বিতরন এবং পুর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহন

ডিজিটাল বর্ষ ঘোষণাএবং খুলনা পিডিয়া উদ্বোধন

গত ২৫ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েখুলনাতে এই প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ডিজিটাল খুলনা উৎসব ২০০৯।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল খুলনা উৎসব ২০০৯। এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয়সংগীত পরিশেনও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের সূচনা হলে খুলনা মহানগরীতে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশে বিবিধ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।

খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গনে ডিজিটাল মেলা উদ্বোধন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা , আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুন্দরবনকে ভোটদান কার্যক্রমসহ অন্যান্য কর্মসূচীর মাধ্যমে ডিজিটাল খুলনা উৎসব ২০০৯ অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে ২০১০ সালকে ডিজিটাল বর্ষ ঘোষণা করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে কারিগরি অংশীদার হিসেবে সহায়তা প্রদান করে বেসরকারী।

গণপ্রজাতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দিন বদলের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে যে সকল কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তার মধ্যে“খুলনা পিডিয়া অন্যতম। পার্টিসিপেটরি মেথডে সকল তথ্য অনলাইনে একটি বৃহৎ কলেবরে ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে তুলে ধরতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যা বাংলাদেশের জেলা ভিত্তিক সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার হিসেবে কাজ করবে। যার ওয়েবসাইট ঠিকানাhttp://www.khulnapedia.com। খুলনা জেলা প্রশাসন ও বেসরকারি সফট্ওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানপ্রাণন প্রাইভেট লিমিটেড এর মধ্যে পাবলিক-প্রাইভেট-র্পাটনারশিপ চুক্তির মাধ্যমে ““খুলনা পিডিয়া নির্মাণ করা হয়।

উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী অটোমেশন

খুলনা পিডিয়া উদ্বোধনের পাশাপাশি খুলনার অন্যতম শতবর্ষী ঐহিত্যবাহী গ্রন্থাগার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী“উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী অটোমেশন”-এর উদ্বোধন করাহয়। এখন থেকে যে কোনো পাঠক লাইব্রেরীর বই, জার্নাল ও অন্যান্য ডকুমেন্টের যাবতীয় তথ্য অন লাইনের মাধ্যমে জানতে পারবেন। অন লাইন ঠিকানা www.umeshlibrary.org ।

সুন্দরবনকে ভোটদান কার্যক্রম

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বিশাল প্রাকৃতিক বন সুন্দরবন। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রকৃতির স্বর্গ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এই সুন্দরবন। প্রাণ ও বৃক্ষের বৈচিত্র্য সমাহারের এই বন বৈজ্ঞানিক, নৃতত্ব ও প্রত্নতাত্বি বিবেচনায় খুবাই গুরুত্বপূর্ণ।

জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশিন ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সুন্দরবনকে ৭৯৮ তম বিশ্বঐতিহ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। বন্যপ্রাণীর বৃহত্তম আধারভূমি এই সুন্দরবন এখন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করছে। এই নির্বাচনে সুন্দরবনকে বিশ্বের সেরা সাতের মধ্যে বিজয়ী করার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে ভোটদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপে সুন্দরবনের পক্ষে ভোটদানের জন্য জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন

জেলা প্রশাসনে জেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের সহযোগিতা করার জন্য খুলনা কালেক্টরেট এর প্রথম তলায় স্থাপন করা হয় তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে যে কোন ব্যক্তি জেলা প্রশাসন অথবা খুলনা জেলা সম্পর্কে যে কোন তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। একই সংগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের যে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা নাগরিকদের যে কোন সমস্যা সম্পর্কে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। একজন সহকারী কমিশনারের তত্ত্ববধানে এই তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রটি পরিচালিত হয়। কেন্দ্রটি চালু হবার ফলে খুলনা জেলার সর্বস্তরের মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব এন এম জিয়াউল আলম এর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে এ কেন্দ্রটি চালু করা হয়।





Related

খুলনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বিভাগকে সাদা সোনার দেশ ও বলা হয়. খুলনা - সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল এবং গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত



Related

খুলনা বাংলাদেশের কত তম বিভাগ?

খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত। 



Related

খুলনা কোন খাবারের জন্য বিখ্যাত

খুলনার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে চুইঝালের খাসির মাংস অন্যতম৷ আর এটার পুরোপুরি স্বাদ নিতে হলে আপনাকে যেতে হবে খুলনার অদূরে চুকনগর নামক স্থানে অবস্থিত বিখ্যাত আব্বাস হোটেলে।



Related

খুলনা জেলা কবে শত্রুমুক্ত হয়

খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। খুলনা: ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও দেশের কোনো কোনো জায়গা তখনো হানাদারমুক্ত হয়নি। খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরদিন দুপুরে খুলনার পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।



Related

খুলনা জেলা কত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল?

কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।