গাংনী উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:
মুন্সি শেখ জমিরউদ্দিনঃ উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক সমাজ সেবক। রাজনৈতিক ভাবে মুসলমানদের হৃত গৌরব তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামের গৌরবময় ঐতিহ্যচেতনাপুষ্ট মুসলমান চিন্তানায়কদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা খেলাফত আন্দোলনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব নিবাসী বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মুন্শী জমিরউদ্দিন বিদ্যাবিনোদ এ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তারঁ সম্পর্কে আর কিছু জানা নাই।
রফিকুর রশীদ:লেখক।
মোহাম্মদ শাহ আলম (ক্রীড়াবিদ) (৫ মে ১৯৫৮ - ২৯ মে ১৯৮৯) হলেন একজন কৃতি বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ। তিনি টানা দু'বার সাফ গেমসে দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শাহ আলমের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৫ মে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক কবির হোসেনের পরিবারে। ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর হয়ে ২০০ মিটারে স্বর্ণ এবং ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতলেও পরের বছর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্রুততম মানব হন শাহ আলম। একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দু'দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে।
১৯৮৮-এর সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শাহ আলম। ১৯৮৯ সালের ২৯ মে বেইজিং এশিয়াডের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে মেহেরপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পাবনার বেড়ার দাড়িয়াপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তথনকার দেশসেরা অ্যাথলেট মোহাম্মদ শাহ আলম। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে করিমপুর,তেহট্ট ও চাপড়া ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়, শুধুমাত্র গাংনী ও মেহেরপুর সদর নিয়ে মেহেরপুর মহাকুমা গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করেন। ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর সদর উপজেলা বিভক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলার সৃষ্টি হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের সূতিকাগার হচ্ছে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই জায়গার নামকরণ করা হয় 'মুজিবনগর'। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ গর্বের সঙ্গে এই নামকরণ করেছিলেন। তখন সরকারি নথিতে লেটার হেডে লেখা থাকত 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মুজিবনগর'।
মুজিবনগর সরকার (যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জনগনের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।