গাজীপুর জেলার প্রাকৃতিক সম্পদ :
কাপাসিয়া গ্যাস ক্ষেত্র:
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ায় তেল গ্যাস আবিষ্কারের সম্ভাবনাময় একটি ভূ-গঠন আবিষ্কৃত হয়েছে। বাপেক্ম এই ভূ-গঠনে সম্পূর্ন সরকারী অর্থায়নে একটি ৩৫০০ মিটার গভীরতা সম্পন্ন কূপ খনন করবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল সেপ্টেম্বর ২০০৭ থেকে-জুন ২০১১। সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর গ্রামে অনুসন্দ্ধান কূপ খনন করা হয়েছে। ৪৫০ BCF গ্যাস আবিস্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। যা উত্তোলনযোগ্য।
কামতা গ্যাস ক্ষেত্র:
কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কামতায় জেলার একমাত্র গ্যাস ক্ষেত্রটি অবস্থিত। বালু নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ কৃষি কাঁচা পণ্যের বাজার উলুখোলা হতে প্রায় ১ কি. মি. দক্ষিণে যার অবস্থান। কামতাতে প্রাপ্ত মোট সঞ্চিত গ্যাসের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট। এ পর্যন্ত ২১ বিলিয়ন ঘনফূট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পানি উত্তোলন হওয়ায় বর্তমানে কূপটি হতে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ আছে। কামতাতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৮৪ সালের ২৯ নভেম্বর এবং গ্যাস ক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয় ১৯৯১ সালের ২৬ আগস্ট। নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে পুনরায় সিসলিক জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর জেলা কাঁঠাল, পেয়ারার জন্য বিখ্যাত। ঢাকা বিভাগে অবস্থিত গাজীপুর জেলাটি বাংলাদেশের মধ্যামঞ্চলের একটি অঞ্চল। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ১৭৭০.৫৮ বর্গ কিমি।
গাজীপুরের মধ্যেই দেশের ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টংগীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সরকার স্বীকৃত একমাত্র জাতীয় উদ্যান ভাওয়াল গড় ও এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরে অবস্থিত।
গাজীপুর: ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গাজীপুর। ১৯শে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় গাজীপুর থেকে। তাই ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর হানাদার মুক্ত দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে গাজীপুরের মানুষ। রোববার দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুর শহরের উনিশে চত্বর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
কালিয়াকৈর ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে ঢোল সমুদ্র দিঘি অন্যতম। থানার কৃতী সন্তান বিশ্বনন্দিত প্রয়াত বৈজ্ঞানিক ড. মেঘনাদ সাহা, যার নামে বিশ্বে কালিয়াকৈর পরিচিত।
সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম কার্পাস। হিন্দি ভাষায় কার্পাস। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। প্রচুর পরিমাণে কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হওয়ায় এই স্থানের নাম করা হয় কাপাসিয়া।