The Ballpen
গাজীপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি - theballpen

গাজীপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

3rd Jan 2023 | গাজীপুর জেলা |

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকসেনারা টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায়, ৭ এপ্রিল জয়দেবপুরে, ১৭ এপ্রিল আরিচাপুরে এবং ১৪ মে বাড়িয়া, ইছরকান্দি, টঙ্গী শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ১ ডিসেম্বর খলাপাড়া ন্যাশনাল জুট মিলে, সাতখামাইরে, ১৭ জুন শ্রীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে গণহত্যা চালায় এবং কাপাসিয়া বাজারে অগ্নিসংযোগ করে। ৪ মার্চ উপজেলা সদরের টংগীতে প্রতিরোধ সংগ্রামে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৯ মার্চ জয়দেবপুর ও চান্দনা চৌরাস্তায় পাকবাহিনীর গুলিতে ৪ জন শহীদ হন। ১৮ নভেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার সোমবাজার খালের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা ওয়াপদা পাওয়ার হাউজ আর্মি ক্যাম্প, থানা ও আড়িখোলা রেলস্টেশন ক্যাম্প দখল করে।  ১৪ ডিসেম্বর পূবাইলে ও নলছাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর যুদ্ধে ৭ জন পাকসেনা এবং মিত্র বাহিনীর আনুমানিক ২ জন সদস্য নিহত হয়। ৯ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কালিয়াকৈর পাকসেনাদের ঘাঁটি আক্রমণ করে ৩৪ জন রাজাকার ও ১২ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর উপজেলার কাচিঘাটা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর যুদ্ধে প্রায় ৫২ জন পাকসেনা নিহত হয়। ৩০ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা ফুলবাড়িয়া এলাকায় ৭জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনা বহনকারী ৩ টি ট্রাক ধ্বংস করে এবং ২৭ জনকে হত্যা করে। কালিয়াকৈর লতিফপুর সেতুর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের সংঘটিত যুদ্ধের পরে পাকবাহিনী শ্রীফলতলী গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। ১৩ ডিসেম্বর বংশী সেতুর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকসেনাদের সংঘটিত যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন জয়দেবপুর রাজবাড়ীর পূর্ব পাশের পুকুর, সাতখামাইর, টংগী শহীদ স্মৃতি স্কুল প্রাঙ্গণ, গাছার বধ্যভূমি, জয়দেবপুর চৌরাস্তার মোড়ে স্থাপিত ভাস্কর্য ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’। রাজবাড়ীতে জয়দেবপুর মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাস্কর্য, তরগাঁয় শহীদ সাজ্জাদের কবর।





Related

গাজীপুর কিসের জন্য বিখ্যাত

গাজীপুর জেলা কাঁঠাল, পেয়ারার জন্য বিখ্যাত। ঢাকা বিভাগে অবস্থিত গাজীপুর জেলাটি বাংলাদেশের মধ্যামঞ্চলের একটি অঞ্চল। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ১৭৭০.৫৮ বর্গ কিমি।



Related

গাজীপুর এর বিখ্যাত কি?

গাজীপুরের মধ্যেই দেশের ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টংগীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও সরকার স্বীকৃত একমাত্র জাতীয় উদ্যান ভাওয়াল গড় ও এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরে অবস্থিত।



Related

গাজীপুর কবে স্বাধীন হয়?

গাজীপুর: ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গাজীপুর। ১৯শে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় গাজীপুর থেকে। তাই ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর হানাদার মুক্ত দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে গাজীপুরের মানুষ। রোববার দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুর শহরের উনিশে চত্বর মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।



Related

কালিয়াকৈর কিসের জন্য বিখ্যাত

কালিয়াকৈর ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে ঢোল সমুদ্র দিঘি অন্যতম। থানার কৃতী সন্তান বিশ্বনন্দিত প্রয়াত বৈজ্ঞানিক ড. মেঘনাদ সাহা, যার নামে বিশ্বে কালিয়াকৈর পরিচিত।



Related

কাপাসিয়া কিসের জন্য বিখ্যাত

সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম কার্পাস। হিন্দি ভাষায় কার্পাস। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। প্রচুর পরিমাণে কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হওয়ায় এই স্থানের নাম করা হয় কাপাসিয়া।