The Ballpen
গাবতলী উপজেলার খেলাধূলা ও বিনোদন - theballpen

গাবতলী উপজেলার খেলাধূলা ও বিনোদন

7th Dec 2022 | বগুড়া জেলা |

গাবতলি উপজেলার ক্রীড়া জগৎ

গাবতলি জনপদের মানুষ আজীবন সংগ্রামী স্বাধীনতার অগ্র সৈনিক। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্রীড়াঙ্গনে এসেছে নতুনত্ব। নতুনত্ব যতই থাক না নিজস্ব সাংস্কৃতিটায় সবচেয়ে বড়কথা হারানো প্রায় প্রাচীনতম খেলাধূলা দিয়েই গাবতলি ক্রীড়াঙ্গনের কথা শুরু করি।

হা-ডু-ডুঃ-হা- ডু-ডু বর্তমান আধুনিকতার উদ্ভাসিত খেলাধুলার মধ্য থেকে অনেক দূরে হাডুডু।  গাবতলি জনপদের অন্যতম খেলা। হাডুডু খেলার উদ্ভব উৎপত্তি পাক ভারতেই।  তবে এদেশের মধ্যে গাবতলিই হাডুডু খেলার উৎসব সবচেয়ে রমরমা। জাতীয় পর্যায়ে হাডুডু খেলায় গাবতলি শীর্ষস্থানে স্থলাভিষিক্ত হয়। (সত্তর দশকে)।

লাঠি খেলাঃ-রূপ রস আর বিচিত্র মুর্হুমুহু ধ্বনিতে যে খেলা আবার বৃদ্ধা বনিতা কার না হৃদয় ছোই? ঢাকের বাড়ী পড়লে কার না কর্ণ কূপে স্পন্দন জাগে? কাসার কঙ্কনে কার না প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। অত্যাধিক আনন্দদায়ক আর কৌশল কলের কল কল্ললে প্রবাহিত হয় লাঠি খেলার বিভিন্ন ঘটনা বহুল গ্রাম বাংলার বিচিত্র চিত্র। এ খেলায় পারদর্শী ছিল গাবতলি জনপদের তরুণ মধ্যবয়সী ও পৌঢ় বৃদ্ধরা। এ খেলা যদিও খুব কম লক্ষ করা যায় তবুও ভোলা যাইনা অনেকের স্বনামধন্য খেলার কলা। যাদের লাঠি খেলার গৌরবে চৌগাছা গৌরবান্বিত।

ফুটবলঃ-গাবতলি জনপদে ফুটবল একটি অতি পরিচিত ও আকর্ষণীয় খেলা। এ ক্রীড়াঙ্গনে ক্রীড়ানৈপুন্যে যারা বগুড়া তথা সারা দেশে মাত করিয়েছেন

ক্রিকেটঃ-আধুনিক বিশ্ব চাহিদাতে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। সেই কারণে সেই স্রোত ধারায় গাবতলি আধুনিক তরুণ তরুনদের মধ্যে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।

হ্যান্ডবলঃ-হ্যান্ডবল খেলায় অত্র উপজেলার রয়েছে অগ্রনী ভূমিকা।

এছাড়া ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, কেরাম, দাবা তাস উল্লেখযোগ্য।

সন্ধ্যা হতেই চাঁদনি রাতে ছন্দমুখর, সংগীত মুখর, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবাঁধা, ইত্যাদি খেলা গাবতলি জনপদের আকর্ষণীয় খেলা। হরেক রকমের জলফেলি আর লাটাই, ঘুড়ি, লাটিম, মারবেলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা চৌগাছার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বহন করে চলে।

ক্রীড়া সংগঠকঃ- গাবতলি উপজেলার অনেক ক্রীড়া সংগঠক  রয়েছে। যাদের কারনে অত্র উপজেলা ছাড়াও জেলা বা বিভাগ পর্যায়ে খেলাধুলা করে পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি গৌরব অর্জনে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।





Related

বগুড়া জেলা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

বগুড়া জেলা ১৮২১  সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।



Related

বগুড়া জেলার ভৌগোলিক সীমানা

৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত।

বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়। 

বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।



Related

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা কত?

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা মোট: ৩৭,৩৪,৩০০ জন
পুরুষ:৪৯.৬০%
মহিলা:৫০.৪০%|উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।



Related

বগুড়া জেলার ইতিহাস

খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ ।

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



Related

বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন কয়টি কী কী?

বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন :৭টি 

  • বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা)
  • বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)
  • বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি)
  • বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)
  • বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট)
  • বগুড়া-৬ (বগুড়া সদর)
  • বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর)