চরফ্যাশন বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা, যা ৫টি থানার অধীনে ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি বরিশাল বিভাগ এর অধীনে ভোলা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত। এটি কৃষি ও জেলে ভিত্তিক অঞ্চল। কৃষি কাজের মধ্যে প্রধানত ধান, ডাল, আলু, সুপারি, নারকেল ইত্যাদির চাষ করা হয়ে থাকে।
এই উপজেলায় মেঘনা নদী ও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় কয়েকশ বছর আগে জেগে ওঠা চর কুকরী মুকরীতে চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে রয়েছে হরিণ। এ ছাড়া রয়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া, বন মহিষ, বানর, বনবিড়াল, উদবিড়াল, শেয়াল, বনমোরগ সহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
উপজেলায় চিত্তাকর্ষক স্থানের মধ্যে রয়েছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত।এবং উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ওয়াচ টাওয়ার জ্যাকব টাওয়ার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ উপজেলা ভোলা-৪ এর অন্তর্ভুক্ত, যা চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা নিয়ে গঠিত এবং এটি ১১৮ নং সংসদীয় আসন হিসেবে চিহ্নিত।
ভোলা দ্বীপ (দক্ষিণ শাহবাজপুর নামেও পরিচিত) হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
সুপারি এবং মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ভোলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ খেতাবটি এই জেলার দখলেই। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ভোলাতেই অবস্থিত। নদী পথে শান্তির বাহন বিলাশবহুল লঞ্চগুলো ভোলার মানুষের গর্ব।
পরবর্তীতে ৯ নম্বার সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল তাকে সেখানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঠান। ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২২ অক্টোরব ১৯৭১ সালে দেউলার যুদ্ধে সিদ্দিকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী দখদার মুক্ত করেণ। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ভোলা মুক্ত হয়।
মনপুরা দ্বীপ বাংলাদেশের ভোলা জেলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দ্বীপটির তিন দিকে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। মনপুরা দ্বীপ বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। তার মধ্যে রয়েছে এটিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সজ্জিত একটি সবুজ ভূমি, হরিনের অভয়রণ্য ,সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা আর ও অনেক কিছু ।
দেশের প্রায় অর্ধ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করা হয় ভোলা থেকে। ভোলার বিখ্যাত মহিষের দুধের টক দধি বিখ্যাত। সুপারি এবং মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ভোলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ খেতাবটি এই জেলার দখলেই।