১৮৮৫ সাল ১৮৮৭ পর্যন্ত সময়ে বাকেরগঞ্জ জেলার দায়িত্বশীল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মিস্টার জে. এইচ ফ্যাশনের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। ১৯২৯ সালে মার্চ মাসে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী বিশটি নতুন বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। জেলা কর্তৃপক্ষ বাকেরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভদ্র ও অভিজাত শ্রেণীর মুসলিম ও হিন্দু পরিবার কে চরফ্যাশন এনে বাড়ি ঘর বেঁধে বসবাস ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেন। মুসলিমদের আনা হয়েছে বাকেরগঞ্জ জেলার উলানিয়ার জমিদার পরিবার, পটুয়াখালী মহকুমার অন্তর্গত লোহালিয়া চৌধুরী পরিবার, মৌলানা নাসির আহমেদ খান পরিবার এবং উত্তর শাহবাজপূর মীর পরিবার থেকে।
হিন্দুদের আনা হয়েছে মাধবপাশার হিন্দু রাজ বাড়ী থেকে। নয়টি মুসলিম ও এগারোটি হিন্দু মোট বিশটি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছিল ভদ্রপাড়া। এ সকল মুসলিম ও হিন্দু পরিবার এর কাজ করার জন্য দুটি মুসলিম উখরাইত পরিবার ও সাতটি হিন্দু উখরাইত পরিবার এনেছিলেন। তাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে উখরাইত পাড়া। আমিনাবাদ ও ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে মুক্তিবাহিনীর ও পাকবাহিনীর মধ্যে এক যুদ্ধে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হয়। বরিশাল বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এটিও একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল। প্রায় সকল ঘূর্ণিঝড়ে কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে ১৯৪১ ও ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বসে এ উপজেলার অনেক লোক মারা যায়।
ভোলা দ্বীপ (দক্ষিণ শাহবাজপুর নামেও পরিচিত) হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
সুপারি এবং মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ভোলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ খেতাবটি এই জেলার দখলেই। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ওয়াচ টাওয়ার ভোলাতেই অবস্থিত। নদী পথে শান্তির বাহন বিলাশবহুল লঞ্চগুলো ভোলার মানুষের গর্ব।
পরবর্তীতে ৯ নম্বার সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল তাকে সেখানে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঠান। ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২২ অক্টোরব ১৯৭১ সালে দেউলার যুদ্ধে সিদ্দিকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী দখদার মুক্ত করেণ। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ভোলা মুক্ত হয়।
মনপুরা দ্বীপ বাংলাদেশের ভোলা জেলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। দ্বীপটির তিন দিকে মেঘনা নদী এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। মনপুরা দ্বীপ বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। তার মধ্যে রয়েছে এটিও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সজ্জিত একটি সবুজ ভূমি, হরিনের অভয়রণ্য ,সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা আর ও অনেক কিছু ।
দেশের প্রায় অর্ধ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করা হয় ভোলা থেকে। ভোলার বিখ্যাত মহিষের দুধের টক দধি বিখ্যাত। সুপারি এবং মিষ্টির জন্য বিখ্যাত ভোলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ খেতাবটি এই জেলার দখলেই।