চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। তারা মূলত কৃষিকাজ করে তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। তার মধ্যে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী আছে যারা মৌসুমের সময় অর্থ উপার্জন করে। তার মধ্যে আম ব্যবসায়ী প্রধান। চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা এই মৌসুমি আম ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার উপযুক্ত স্থান। আমের মৌসুমে এই শিবগঞ্জ উপজেলা হয়ে উঠে লোকে লোকারণ্য। আমের মৌসুমে এখানে চাঁপাই নবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় আমের বাজার বসে যা বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায় না।
আম ব্যবসায়ী ছাড়াও এখানে টমেটো ব্যবসায়ী,কাঁসা-পিতল ব্যবসায়ী, পান ব্যবসায়ী দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমের ব্যবসায়ীই প্রধান। উল্লেখ্য যে সদর উপজেলার যাদুপুর গ্রামের পান এই অঞ্চলের সেরা পান। অধিকাংশ পান ব্যবসায়ীই এই অঞ্চলের।
আম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত, কারণ গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অধিকাংশ জমি বিভিন্ন ধরনের আমের গাছে ভরপুর থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয় শিবগঞ্জ, ভোলাহাট,নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত আমের মধ্যে হচ্ছে, ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, আশ্বিনা, বোম্বাই অন্যতম ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রহনপুর তথা গোমস্তাপুর উপজেলার এই এলাকা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনী তাদের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামটি সাম্প্রতিকালের। জেলাবাসীর দাবির মুখে ২০০১ সালের ১লা আগস্ট সরকারিভাবে নবাবগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাখা হয়। পূর্বে এই এলাকা 'নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল।
কালাই রুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার৷ এটি পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবারও বটে। এক সময় কালাই এর সহজলভ্যতার কারণে এই অঞ্চলে এই রুটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। এই এলাকার প্রত্যেক মেয়েই জানে জানে কীভাবে এই রুটি বানাতে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত, কারণ গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং রাজশাহী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অবস্থিত।