এখানকার বেশিরভাগ লোকই চাষাবাদ এবং কৃষিনির্ভর ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে কিছু কিছু এলাকার লোক ব্যাবসায়ী জেলে ও তাঁতী । উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য হচ্ছে আম ব্যবসা। এখানে সরকারী ভাবে নন্দাখামার এলাকায় গোপালপুর চিনিকলের জন্য কাঁচামাল হিসেবে আখ চাষ করা হয়। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন চাকরি করেন। বর্তমানে চারঘাট উপজেলার কৃষকরা প্রায় বারো মাস বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করে থাকেন। এখানকার মানুষেরা আখ চাষাবাদের পাশাপাশি বেশিরভাগ ধান চাষাবাদ করে থাকেন। চারঘাট উপজেলা পান এর খড়ের জন্য বেশি বিখ্যাত। কারণ এই উপজেলায় সর্ব প্রথম পানের খড়ের উৎপাদন শুরু হয়।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।