চারঘাট উপজেলা রাজশাহী শহর থেকে ৩২ কিঃমিঃ দুরে পদ্মা বড়ালের মিলন স্থলে অবস্থিত। বর্তমান চারঘাট নানা দিক দিয়ে এক কালের উন্নতর বাণিজ্য সোহান । এক সময় কলকাতা বন্দর হতে আর এস, এন, আই, জি, এন, এবং আর কোম্পানীর বড় বড় ষ্টীমার এই অঞ্চলের থানাঘাট, ঠাকুর বাড়ীর ঘাট, ষ্টীমার ঘাট ও বাবুলালের ঘাটে আসা যাওয়া করত। প্রচলিত আছে অতীতের এই চারটি ঘাটের সংগে বর্তমান চারঘাট নাম সম্পৃক্ত। চারঘাট হতে ১.৫ কিঃমিঃ দুরে সরদহ অবস্থিত। সেই সময়কার সরদহ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল এবং এই সব জঙ্গলে বন্য প্রাণী বিশেষ করে বাঘ ও অন্যান্য হিংস্রপ্রাণী বাস করত। জনবসতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই বন্য প্রাণী হত্যার প্রয়োজনে রজন্য সরকার হতে বেশ কিছু বাঘ শিকারী নিযুক্ত করা হয়েছিল। এই সবকার সেরদহের তৎকালীন নাম ছিল’’শেরদহ’’ অর্থাৎ বাঘের গ্রাম। পরে শেরদহ হতে এই এলাকার নাম সরদহ হয়।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।