চুয়াডাঙ্গা জেলায় তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই।
তবে...
গঙ্গা নদীর নতুন ও পুরানা পলিতে গড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি প্রধানত চুনযুক্ত এবং খাকি বা হালকা বাদামী থেকে গাড় ধূসর বাদামী বর্নের দোঁআশ থেকে এটেঁল । গঙ্গার গৈরিকবর্ন পলিমাটি অল্প বালি মিলে যে ঈষৎ পাটল বর্ন হয়, তাই এ অঞ্চলের মাটির সাধারন রঙ ।
মৃত্তিকাসম্পদ ও উন্নয়ন ইন্সটিটিউট(পূর্বতন মৃত্তিকা জরিপ বিভাগ)- এর ১৯৭০ সালের প্রাথমিক মৃত্তিকা জরিপে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সিরিজ পর্যায়ে ১১ রকমের মাটি পাওয়া গেছে । এ অঞ্চলের মৃত্তিকার নমুনা পরীক্ষা করে পটাস ও ফসফেট মেশানো কাদা, নুড়ি, কাঁকর এবং পাতলা ও মোটা পলি মেশানো দোঁআশ মাটি এবং অল্প কিছু অঞ্চলে এটেঁল মাটির প্রলেপ পাওয়া গেছে ।
উৎপত্তিধারা ও গুনগত সাদৃশ্য বিচার করে এসব মাটিকে চুনযুক্ত গাঢ় ধূসর চুনবীহিন গাঢ় ধূসর , চুনযুক্ত বাদামী ও চুনযুক্ত পলিমাটি অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ করা যায় । এ জেলার উচুঁ জমিতে সারা গোপালপুর ও ঈশ্বরদী নামক মোট তিনটি মৃত্তিকা দল শনাক্ত করা হয়েছে ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভুট্টা, তামাক ও পানে, খেজুরের গুড় এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল এবং আম উৎপাদন করে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন।
চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার নথিপত্রে দেখা গেছে, ১৯৮৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অনুয়ায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বমোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ নাম ওঠে প্রায় ১৮০০ জনের।
সমুদ্র থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা: স্বাধীনতা যুদ্ধের সুতিকাগার বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত করেন বাংলার মুক্তিসেনারা।
১৮৬২ সালে ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হলে ১৮৬২ সালে মহকুমা সদর দপ্তর দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থান্তরীত হয়। যার ফলে চুয়াডাঙ্গা তখন নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা এবং বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।