কথিত আছে যে ১৬৬০-৬৫ সালের সময় জীবন খাঁ নামে এক ভয়ংকর ডাকাত এ অঞ্চলে আস্তানা গাড়ে। এ এলাকা তখন গভীর বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ এবং বাঘের আবাসস্থল ছিল। পাশে ছিল বর্তমানে মৃত ভৈরব নদী। বৃটিশরা ১৭৭৩ সালে ভারতবর্ষ দখলের পর এই সব ডাকাতদের রবিনহুড স্টাইলে মহৎ দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। জীবন খাঁ ডাকাত কে রিবনহুডের মতো মহৎ ব্যক্তি বিবেচনা করে তার নামে এই এলাকার নাম জীবননগর রাখে। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৩ সালে জীবননগরকে থানা হিসাবে এবং বাংলাদেশ আমলে ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে উন্নীত করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভুট্টা, তামাক ও পানে, খেজুরের গুড় এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল এবং আম উৎপাদন করে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশনটি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন।
চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার নথিপত্রে দেখা গেছে, ১৯৮৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অনুয়ায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বমোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ নাম ওঠে প্রায় ১৮০০ জনের।
সমুদ্র থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
চুয়াডাঙ্গা: স্বাধীনতা যুদ্ধের সুতিকাগার বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত করেন বাংলার মুক্তিসেনারা।
১৮৬২ সালে ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হলে ১৮৬২ সালে মহকুমা সদর দপ্তর দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থান্তরীত হয়। যার ফলে চুয়াডাঙ্গা তখন নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা এবং বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।