জুড়ী উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বৈচিত্রময় এক ভূখন্ড। নয়নাভিরাম সবুজের সমারোহ রাজকী, ফুলতলা, সাগরনাল, রত্না, কাপনাপাহাড়, ধামাই, পাথারিয়া, দিলকুশা, আতিয়াবাগ, সমনভাগ, রশিদাবাদ সহ ১২ টি চা বাগানের চা সম্পদ ; লাঠিটিলা, হলম্পা, সাগরনাল, মাধবছড়া বাঁশ ও গাছ মহাল ; হাকালুকি হাওড়ের জলমহাল থেকে উৎপাদিত মাছ ও ফসল;সুজানগরের আগর গাছ থেকে উৎপাদিত আগর আতর শিল্প প্রভৃতি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। জুড়ী বজিটিলার( জায়ফরনগর ইউ/পি ) মাটি ও সিলিকা বালি চিনা মাটির বাসন তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
(ক) ভূপ্রকৃতিঃ- এ উপজেলা ০৩ টি ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত।
পাহাড়ী অঞ্চল -ছোট বড় মাঝারি উচু-নীচু পাহাড় রয়েছে যা উপজেলার পূর্বাংশে অবস্থিত। মধ্যাংশে সমতলভূমি,
পশ্চিমাংশে বৃহত্তর হাকালুকিহাওড়।
(খ) জলবায়ুঃ-উপজেলার জলবায়ু ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে জাতীয় সার্বিক জলবায়ুর অনুরুপ।
ভূমি বৈচিত্রের কারনে গ্রীষ্মকালে গরম এবং শীতকালে শীত একটু বেশী অনুভুত হয়। একই কারনে বৃষ্টিপাতের পরিমান
ও দেশের অপরাপর অঞ্চল থেকে এখানে একটুবেশী।
(গ) সেগুনবাগান- জুড়ী উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিঃমিঃ পূর্বে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া নামক
গ্রামে প্রায় ৪/৫ হাজার একর জায়গা জুড়ে বৃহৎ সেগুন বাগান রয়েছে।
(ঘ) বাশমহালঃ জুরী উপজেলায় রয়েছে একাধিক প্রকৃতিক বাশমহাল যে গুলো বনবিভাগের মাধ্যমে তিন বছর অন্তর অন্তর
প্রতি বছরের জন্য ইজারা হয়। যেগুলোর একত্রিত ইজারা মূল্য কয়েক কোটি টাকা হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলায় ইউনিয়ন ৬টি ,
ইউনিয়নসমূহ:
পাহাড়-টিলায় বেস্টিত জৈন্তাপুর উপজেলা সারী নদী এবং বরগাং উল্লেখযোগ্য দুটি নদী। এছাড়াও জৈন্তাপুর উপজেলাধীন হরিপুর এ কাপনা নদী অবস্থিত। সারী নদীর অপার সৈন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন হাজারও দর্শক সারীঘাট নামক এলাকায় ভীড় জমান।
চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ৪২৫ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জনপদের সাথে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে সারাদেশের। চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ব্যাপক। দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদভারে সারাবছর মুখরিত থাকে।
কুলাউড়া, চা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরে কুলাউড়ার অবস্থান। কুলাউড়ায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়।
কুলাউড়ায় পাক বাহিনীর প্রবেশ ও নির্মম গণহত্যা: সারা বাংলায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা অত্যাচার নিপীড়ন শুরু করলেও কুলাউড়া থানায় তারা প্রথম আসে ৭ মে ১৯৭১ সালে। পাকিস্তানি সৈন্যেরা মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া প্রবেশ পথে কাপুয়া ব্রিজের কাছাকাছি আসলে তাদের গতিরোধ করতে অকুতোভয় বীর সৈনিক জয়চন্ডী