বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত প্রত্যন্ত দুর্গম একটি উপজেলা জুরাছড়ি। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার নিভৃত এ জনপদটিতে রয়েছে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান। প্রকৃতির নির্মলতা আর বিশুদ্ধতা যেন সবখানে বিরাজমান। জনসংখ্যার দিক থেকে একটি ক্ষুদ্রতর একটি উপজেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ এ উপজেলাটি সহজেই পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়।
এ উপজেলাটি পূর্বে বরকল উপজেলার একটি ইউনিয়ন ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮০খ্রিঃ সালে ১৮ নভেম্বর জুরাছড়িকে মানউন্নীত থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।পরবর্তীতে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২৫ জুলাই উপজেলাই উন্নীত হয়।
চাকমা শব্দ ‘জুরা’ অর্থ ঠান্ডা বা শীতল এবং ‘ছড়ি’ অর্থ পানির ঝর্ণা বা ঝিরি। ঠান্ডা পানির ঝর্ণা বা ঝিরি প্রবাহিত হওয়ার স্থানটির নাম হয়েছে "জুরাছড়ি”।
রাঙ্গামাটি জেলার মোট আয়তন ৬১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি জেলার আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা।
রাঙ্গামাটি জেলায় ১০ টি উপজেলা রয়েছে-
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতমঃ
১৯৮৯ সনে পার্বত্য জেলাসমূহের বিভিন্ন অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠি অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নকল্পে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ১৯নং) অনুযায়ী রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ স্থাপিত হয়।
কাপ্তাইয়ের দর্শনীয় স্থান কাপ্তাই হ্রদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম এ হ্রদ রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। 2 কর্ণফুলি কাগজ কল। চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত এ কাগজ কলটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল।