ঝালকাঠি জেলায় প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব -
কামিনী রায়
(জন্ম ১৮৬৪- মৃত্যু ১৯৩৩)
স্বনামধন্য কবি কামিনী রায়ের জন্মঝালকাঠির বাসন্ডা গ্রামে। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ।
হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আযীযুর রহমান (কায়েদ সাহেব হুজুর)
(জন্ম ১৯১১- মৃত্যু ২০০৮)
কালজয়ী মহাপুরুষ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আযীযুর রহমানের জন্মনেছারাবাদ গ্রামে। তিনি দক্ষিন বাংলার একজন বিশিষ্ট পীর ও ঝালকাঠিবাসীর নয়নের মনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত নেছারাবাদ কামিল মাদ্রাসাটি দক্ষিণ বাংলা তথা বাংলাদেশের একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবগৌরবে মাথা উঁচু করে আছে।
১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে ঝালকাঠি শহরকে জেলা শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়।
একাত্তরের ২৩ নভেম্বর ৯নং সেক্টরের মধ্যে এ জনপদ সবার প্রথম হানাদার মুক্ত হয়েছিলো।
নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলার রেজাউল করিম ২৪ সদস্য বিশিষ্ট মানিক বাহিনী গড়ে তোলেন।
ঝালকাঠির জনপ্রিয় খাবার: ঝালকাঠি প্রাকৃতিক ফল যেমন আম, কলা, জলপাই, কাঠাল, তাল, লিচু, নারিকেল, আমড়া, পেয়ারা।
শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১ মিটার। ঝালকাঠী শহর ঢাকা থেকে ১৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২০ কি.মি. পশ্চিমে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত। সুগন্ধা নদী থেকে বাসন্ডা খাল নামে একটি শাখা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে শহরকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। শহরের ভিতরে আরও ১২টি খাল প্রবহমান রয়েছে।