তানোর মূলতঃ কৃষি নির্ভর। এখানকার সিংহভাগ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি। তাই এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছূ কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। কুটিরশিল্পের মধ্যে রয়েছে: তাঁত, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, সেলাইয়ের কাজ, স্বর্ণকার, কামার, কুমার সহ প্রভৃতি। এখানাকার প্রধান অর্থকারী ফসল: ধান, আলু, গম, পাট, পিঁয়াজ, রসুন, মৌসুমী শাকসব্জী।শিল্প ও কলকারখানার মধ্যে রয়েছে: সিমেন্ট কারখানা, আটা ও চাল কল, বরফ কল, ওয়েল্ডিং কারখানা, জুটমিলের ববিন তৈরির কারখানা (কামারগাঁ), আলু রাখার হিমঘর ৫টি (কাশেমবাজার, কালিগঞ্জ ২টি, দেবীপুর ২টি)।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।