নদীবিধৌত তালতলী উপজেলায় অধিকাংশ জনগণ মৎস ও কৃষিজীবি। এ উপজেলার ব্যবসা-বাণিজ্য মূলতঃ মৎস্যকেন্দ্রীক। এখানে সোনারচরে মাছের অনেক আড়ত রয়েছে এবং এটাকে কেন্দ্র করে ০৩টি বরফকল গড়ে উঠেছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে শুটকি পল্লী। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুটকি বানিজ্যিক ভাবে সরবরাহ করা হয়।
সমুদ্রের তীরবতী হওয়ায় তলতলী প্রকৃতিকভাবেই সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছেঃ সৃজিত বন, আশার চর, ফাতরার বন, সোনাকাটা সমুদ্র সৈকত, রাখাইন পল্লী ইকোপার্ক প্রভৃতি।
লাল কাঁকড়ার খেলা এইচ এম রবিউল ইসলাম (রবি) নলবুনিয়া, তালতলী। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার ১৮:৩০ নলবুনিয়া তালতলী উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট।
বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।
প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া উপ-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামী সহস্রাধিক তরুণ বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। এরই মধ্যে পাকবাহিনী দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বরগুনা-৩ বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সংসদীয় আসন। বাংলাদেশের বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ ছিলেন শেখ হাসিনা।
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।
জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।