দশমিনা উপজেলা পটুয়াখালী জেলার অন্তগত উপকুলীয় একটি উপজেলা। দশমিনা ২২.২৮৮৩° উত্তর এবং ৯০.৫৯০৩° পূর্ব এ অবস্থিত। এটি আনুমানিক ১৯,৮৬৩টি খানা নিয়ে এবং মোট এলাকা ৩৫১.৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। উপজেলা সদর দশমিনা সদরে অবস্থিত। এটি তেতুলিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। কেন্দ্রে সদর সহ দশমিনার ০৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে, এর মধ্যে দুটি দশমিনা সদরের উত্তরে বাশবাড়িয়া ও বহরমপুর ইউনিয়ন। বাশবাড়িয়া তেতুলিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। বহরমপুর ও বাশবাড়িয়া উভয় ইউনিয়নের উত্তর সীমান্ত বাউফল উপজেলা দিয়ে শুরু হয়েছে। রনো গোপালদী ও বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন দশমিনা সদরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং অবশেষে আলীপুরা ইউনিয়ন এই ঐতিহাসিক উপজেলার দক্ষিণ অংশ জুড়ে যা গলাচিপা উপজেলা থেকে শুরু করে শেষ হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টরের অধীন তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা একটি সাব-সেক্টর। পটুয়াখালী-বরগুনার ১০টি থানা নিয়ে গঠিত এই পটুয়াখালী সাব-সেক্টর।
১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম।
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দই, বাপ্পি এবং কুয়াকাটা জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলাটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, এটি আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ৩২২০.১৫ বর্গ কিমি।
দীর্ঘ ৮ মাস পাক-হানাদারদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় এই জেলা। এইদিনে একদিকে স্বজন হারানোর বিয়োগ ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস । হৃদয় উজাড় করে বরণ করে নেয় পটুয়াখালীবাসী হানাদার মুক্ত এই দিনটিকে।