খুলনা জেলা বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যতম। বিশেষ করে পাট শিল্পে খুলনা বিখ্যাত। তারই পথ ধরে দিঘলিয়া উপজেলা ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রসর। উপজেলায় বেশ কয়েকটি পাটের মিল রয়েছে। তার কিছু রাষ্ট্রয়াত্ত এবং অন্যগুলো ব্যাক্তি মালিকানাধীন। দিঘলিয়া উপজেলার পাটকল গুলোর নাম হলো-
১. স্টার জুট মিল;
২. এপেক্স জুট মিল;
৩. সাগর জুট স্পিনিং মিলস লিঃ;
৪. মন্ডল জুট মিলস লিঃ;
৫. শাহনেওয়াজ জুট মিলস লিঃ।
এছাড়াও পাট সংক্রান্ত আরো বেশকিছু কলকারখানা আছে। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি সম্পর্কিত বাণিজ্যেও অগ্রসর। এখানে প্রচুর কৃষিজ পণ্য উৎপাদিত হয়।
খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বিভাগকে সাদা সোনার দেশ ও বলা হয়. খুলনা - সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল এবং গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত।
খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
খুলনার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে চুইঝালের খাসির মাংস অন্যতম৷ আর এটার পুরোপুরি স্বাদ নিতে হলে আপনাকে যেতে হবে খুলনার অদূরে চুকনগর নামক স্থানে অবস্থিত বিখ্যাত আব্বাস হোটেলে।
খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। খুলনা: ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও দেশের কোনো কোনো জায়গা তখনো হানাদারমুক্ত হয়নি। খুলনা মুক্ত হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরদিন দুপুরে খুলনার পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।