দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ঐতিহাসিক উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো :
ধাপসুলতানগঞ্জঃ ধাপসুলতানগঞ্জ একটি প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক স্থান। দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তরে নাগর নদের তীরে এর অবস্থান এবং উপজেলা সদর থেকে এটি দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্থানটির নাম হয় ধাপসুলতান নামকরণ করা হয় করাণ কথিত রয়েছে এখানকার ঢিবি বা ধাপের উপর হযরত শাহ্ সুলতান বলখী এর আস্থানা ছিল। এছাড়াও দুপচাঁচিয়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রানাধীন গো-হাটের জন্যও স্থানটি বিখ্যাত।
বেড়ুঞ্জঃ দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের প্রাচীন গ্রাম হিসেবে বেড়ুঞ্জে অনেক পুরাতন পুকুর, অট্টালিকা, মসজিদের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। লোকমুখে জানা যায়, খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দির শেষ দিকে সৈয়দ হোসেন আলী নামক আরবের একজন সাধক ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে স্বীয় স্ত্রী এবং কিছু সংখ্যক শিষ্য সমেত এ অঞ্চলে আগমন করেন। পরবর্তীতে এখানে একটি পরগনার পত্তন করেন।
গোবিন্দপুর মন্দিরঃ গোবিন্দপুর মন্দির গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মৌজার একটি প্রাচীন মন্দির। বর্তমানে মন্দিরের জমিতে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূবেই এ মন্দির থেকে পাথরের পুরাতন মূতি নিয়ে মহাস্থানগড়ে স্থাপন করা হয়। এছাড়াও এখানকার মন্দিরের দেওয়ালে অন্তর্ভাগে ও বহিঃর্ভাগে অনেক হস্তশিল্প রয়েছে।
গান্ধি ভিটাঃ এ উপজেলার তালোড়ায় ঊনবিংশ শতাব্দির প্রথমদিকে উপমহাদেশের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধী আসেন ও ৮/১০ দিন অবস্থান করেন। পরবর্তীতে জায়গাটি গান্ধি ভিটা নামকরণ করা হয়। এখানে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি তালোড়া তিন মাথা থেকে দুর্গাপুর সড়কের ২ শত গজ দক্ষিণে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে চরকাই টোল (স্কুল) উদ্বোধন করেন।
গুনাহার সাহেব বাড়িঃ অবিভক্ত বাংলার এক্সাইজ কমিশনার মরহুম খান বাহাদুর মোতাহার হোসেন খান ১৯৪১ইং সালে নির্মিত বাড়িটির নান্দনিক কাঠামোগত সৌন্দর্য এবং লোকগাথা সবার মুখেমুখে ছড়িয়ে পরার কারণে এটি স্থানীয় টুরিস্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গুনাহার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকাতে অবস্থিত এই বাড়িটি দুপচাঁচিয়া উপজেলাবাসীর কাছে 'সাহেব বাড়ি' হিসেবে সুপরিচিত একটি নাম। এখানে ব্রিটিশ পিরিয়ডে টেলিফোন সংযোগ, কেরোসিন তেলে ফ্যান সহ নানা শৌখিন আসবাবপত্র ছিল দর্শনীয় বিষয়।
৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত।
বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, উত্তর পশ্চিমে জয়পুরহাটের অংশবিশেষ,পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে নওগাঁ, দক্ষিণে নাটোর ও সিরাজগঞ্জের অংশবিশেষ এবং দক্ষিণ পূর্বে সিরাজগঞ্জের অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান। বগুড়ার পূর্বে জামালপুর থাকলেও এর স্থলভাগ সংযুক্তভাবে অবস্থিত নয়।
বগুড়া ভৌগোলিকভাবে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক বলয়ে অবস্থিত। তাছাড়া বগুড়া জেলা বরেন্দ্রভূমির অংশবিশেষ যা ধূসর ও লাল বর্ণের মাটির পরিচিতির জন্য উল্লেখ্য।
বগুড়া জেলার জনসংখ্যা মোট: ৩৭,৩৪,৩০০ জন
পুরুষ:৪৯.৬০%
মহিলা:৫০.৪০%|উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার মধ্য জনসংখ্যায় বৃহত্তম জেলা হচ্ছে বগুড়া। এবং সারা বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম জেলা।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। মৌর্য এর পরে এ অঞ্চলে চলে আসে গুপ্তযুগ । এরপর শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ ।
সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১,২৭৯ থেকে ১,২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছিল বগড়া (English:Bogra)। ইংরেজি উচ্চারন 'বগড়া' হলেও বাংলায় কালের বিবতর্নে নামটি পরিবর্তিত হয়ে 'বগুড়া' শব্দে পরিচিতি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে বগুড়ার ইংরেজি নাম Bogura করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বগুড়া জেলার সংসদীয় আসন :৭টি