দুমকী নামটি সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তাহলো দুমকী নামটির উৎপত্তি মূলত দ্বি-মূখী একটি খালের নাম থেকে । পটুয়াখালী জেলার লেবুখালী ইউনিয়নের দুমকী একটি গ্রাম। এলাকার তৎকালীন মুরববীগন এম. কেরামত আলী সাহেবের সম্মানে দুমকী গ্রামের নামেই দুমকী পুলিশ থানার নামকরণ করেন। দুমকী থানা ভবন পটুয়াখালী কৃষি কলেজ সব কিছুই শ্রীরামপুর মৌজায় থাকা সত্বেও কেহই ইহার বিরোধীতা করেন নাই। ১৯৯৪ সালের ২২ অক্টোবর উপজেলার দাবীনামা এবং উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের স্থান নির্ধারনে এবং হারুন-অর-রশীদ হাওলাদারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কর্তৃক দুমকী নামকরণকে প্রাধান্য দিয়ে বহাল রাখা হয়। দুমকী আজ শিক্ষা ও কৃষি সমৃদ্ধ পায়রা-লোহালিয়া নদী বিধৌত আয়তনে ছোট হলেও একটি উল্লেখযোগ্য নাম।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টরের অধীন তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা একটি সাব-সেক্টর। পটুয়াখালী-বরগুনার ১০টি থানা নিয়ে গঠিত এই পটুয়াখালী সাব-সেক্টর।
১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলার বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম।
পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত খাবার মহিষের দই, বাপ্পি এবং কুয়াকাটা জন্য বিখ্যাত। পটুয়াখালী জেলাটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, এটি আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তনে এ জেলাটি প্রায় ৩২২০.১৫ বর্গ কিমি।
দীর্ঘ ৮ মাস পাক-হানাদারদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর একাত্তরের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় এই জেলা। এইদিনে একদিকে স্বজন হারানোর বিয়োগ ব্যাথার দীর্ঘশ্বাস, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস । হৃদয় উজাড় করে বরণ করে নেয় পটুয়াখালীবাসী হানাদার মুক্ত এই দিনটিকে।