দুর্গাপুর বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত একটি উপজেলা। রাজশাহী জেলা হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরত্বে উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত । দুর্গাপুর উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা সমন্বয়ে গঠিত যার আয়তন ১৯৫.০৩ বর্গ কিঃ। দুর্গাপুর উপজেলায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার লোকের বসবাস। বর্তমানে দুর্গাপুর থানাটি দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর পৌরসভায় অবস্থিত । দুর্গাপুর উপজেলার উত্তরে বাঘমারা এবং মোহনপুর উপজেলা, দক্ষিণে চারঘাট উপজেলা , পূর্বে পুঁঠিয়া এবং পশ্চিমে পবা উপজেলা। শিক্ষার দিক দিয়ে দূর্গাপুর উপজেলার অবস্থান অত্যন্ত ভালো। প্রাখমিক শিক্ষা সমাপনি ২০১১ সালে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী উপজেলা।
এ উপজেলায় জলাশয় আর বিলে পরিপূর্ন থাকায় মাছে ভাতে বাঙ্গালী হিসেবে সুনাম রয়েছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় থাকার কারণে দূর্গাপুরের সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রশংসনীয়।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।