ভৌগলিকভাবে দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হওয়ায় এই উপজেলার নামদৌলতপুর উপজেলা নাম করণ করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার অধীনে একটি উপজেলা। দৌলতপুর উপজেলার আয়তন ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে বাঘা ও লালপুর, দক্ষিণে গাংনী ও মিরপুর, পুর্বে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মাথাভাঙ্গা ও পদ্মা এই উপজেলার প্রধান নদী। এছাড়া হিসনা নামের আরো একটি নদী দৌলতপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
১৯৮৩ সালে দৌলতপুর থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়। দৌলতপুর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন, ১৬১টি মৌজা ও ২৪২টি গ্রাম রয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার শিক্ষিতের হার ২০.৫%; যার মধ্যে ২৫% পুরুষ ও ১৫.৭% মহিলা। এই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগূলোর মধ্যে রয়েছেঃ মহাবিদ্যালয়ঃ ১১ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৪৫ টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১০৫ টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮২ টি, মাদ্রাসাঃ ৩৫টি, ভকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রঃ ১ টি এবং এতিমখানাঃ ১ টি
কৃতী ব্যক্তিদের ভিতরে আছেনঃ
১। শাহ আজিজুর রহমানঃ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শাহ আজিজুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলাই জন্মগ্রহন করেন।
কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল 'সেক্টর নং ৮' এর অন্তর্ভুক্ত। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এই সেক্টরে ছিল ৭টি সাব-সেক্টর।
কুষ্টিয়া জেলা তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম এর জন্য বিখ্যাত। এ জেলাটিকে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এ জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
পাটকে স্থানীয় ভাষায় 'কোষ্টা' বা 'কুষ্টি' বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ 'কুশতহ' থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের উল্লেখ পাওয়া যায়। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা।