সমতল, হাওড় ও পাহাড় ঘেরা হযরত শাহজালাল (র:)’র সিলেট বিজয়ের প্রথম অভিযানের স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি নবীগঞ্জের নামকরণের ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি মতে, হযরত শাহ নবী বক্স (র:) নামে জনৈক কামিল দরবেশ ইসলামের মহান বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আগমন করেন এবং প্রবাহিত শাখা-বরাক নদীর তীরে আস্তানা গাড়েন। তাঁর স্থাপিত আস্তানাকে কেন্দ্র করে লোকসমাগম বাড়তে থাকার ফলে এখানে একটি গঞ্জ বা বাজারের গোড়াপত্তন শুরু হয়। পরবর্তীতে তাঁর নামের সম্মানার্থে এ গঞ্জ বা বাজারের নামকরণ করা হয় নবীগঞ্জ।
নবীগঞ্জ নামকরণের ক্ষেত্রে অন্য একটি ভিন্নমত প্রচলিত আছে, যে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ নবীগঞ্জ নামকরণ করা হয়েছিল।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প । এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয় । এ ছাড়াও এ জেলার অর্থনীতিতে এই জেলার পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী ।
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছ খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে "ছিকর" নামের একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
বাহুবল উপজেলা প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর উপজেলা। এই উপজেলায় একই সাথে পাহাড়ী টিলা সমতল ভহমি এবং হাওড় অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ৭টি চা-বাগান উপজেলাকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। তা ছাড়া এইখানে নির্মাণাধীন ৫ তারকা বিশিষ্ট দি প্যালেস আকর্ষনের বিষয় বসত্মত্মুতে পরিণত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানা । এটি কে পি আই শ্রেণীর স্থাপনা যা ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়ন ও ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়কে ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড দেখতে পাওয়া যায় ।
১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বদিন পর্যন্ত সিলেট আসামের একটি জেলা হিসেবে গণ্য ছিল। অর্থাৎ এই সময়ে নবীগঞ্জ আসাম প্রদেশের একটি জেলা হিসেবে সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল।