দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে নরসিংদী জেলার একটি বিশেষ এবং উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য হচ্ছে তাঁত শিল্প। প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার বলে খ্যাত শেখের চর(বাবুর হাট) এ জেলায় অবস্হিত। বাংলাদেশের বস্ত্র চাহিদার প্রায় সিংহভাগ পূরণ হচ্ছে এ বাবুর হাট(শেখেরচর) থেকে।রপ্তানি বাণিজ্যের অনেক শিল্প কারখানা এখানে গড়ে উঠেছে। যথা: থার্মেক্স গ্রুপ, জুয়েল ভুইয়া গ্রুপ, ভাই ভাই গ্রুপ (স্মার্ট লুঙ্গি, আমানত শাহ লুঙ্গি)সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।ফলমূল ও সবজি উৎপাদন এবং বিক্রয়ে এ জেলার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।যথা: কলা, লটকন, আনারস, কাঁঠাল, বেগুন, কাকরল, বরবটি, শশা,পেপেঁ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্যে। এছাড়া সোনালী আঁশ পাট উৎপাদন ও ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্ঠা্ন এ জেলায় বিদ্যমান।
এই জেলা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। নরসিংদী তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। নরসিংদী জেলার কাপড় কিনে নিয়ে যায় পুরো বাংলাদেশ এর মানুষ এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে থাকে।
১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা এ ০৬ টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা ঘোষণা করে সরকার।
নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল।
নরসিংদীকে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে নেয়া হলে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. নূরুজ্জামান। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৯৭৭ পরবর্তী নারায়ণগঞ্জ মহকুমা থেকে নরসিংদী অঞ্চলকে একক মহকুমায় উন্নিতকরণ করার সুবাদে নরসিংদী পৌর পরিষদকে (ক) শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকারের স্বায়ত্তশাসিত ৩৩ টি মহল্লার সমন্বয়ে ৯ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১০.৩২ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তন জুরে নরসিংদী পৌরসভায় রুপান্তর হয়।