এর রয়েছে এক গৌরবময় প্রাচীন ইতিহাস। সম্প্রতি জেলার বেলাব উপজেলাধীন উয়ারী-বটেশ্বর এলাকায় অসম রাজার গড় নামক স্থানে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া এ জেলার রয়েছে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ঢাকার বাইরে প্রথম হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে এ জেলার পাঁচদোনা নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবলভাবে প্রতিরোধ করে এবং শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আহত হন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর একটি সাজোয়া যান ধ্বংস হয়। হতাহত হয় বেশ কিছু পাকিস্তানি সৈন্য। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদ, মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান, বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক ড.আলাউদ্দি আল আজাদ, পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেন এ জেলারই সন্তান।
এই জেলা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। নরসিংদী তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। নরসিংদী জেলার কাপড় কিনে নিয়ে যায় পুরো বাংলাদেশ এর মানুষ এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে থাকে।
১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব এবং রায়পুরা এ ০৬ টি উপজেলা এবং নরসিংদী পৌরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা ঘোষণা করে সরকার।
নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের মধ্যভাগের ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল।
নরসিংদীকে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে নেয়া হলে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. নূরুজ্জামান। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৯৭৭ পরবর্তী নারায়ণগঞ্জ মহকুমা থেকে নরসিংদী অঞ্চলকে একক মহকুমায় উন্নিতকরণ করার সুবাদে নরসিংদী পৌর পরিষদকে (ক) শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকারের স্বায়ত্তশাসিত ৩৩ টি মহল্লার সমন্বয়ে ৯ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১০.৩২ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তন জুরে নরসিংদী পৌরসভায় রুপান্তর হয়।