উপজেলাটি মূলত: বরেন্দ্র এলাকা এবৃ কৃষি নির্ভরশীল। এ উপজেলায় ধান চাউলের ব্যবসা হয়ে থাকে । এখানে মিল চাতাল রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কেউ চাকুরী করে, কেউ স্কুল মাষ্টার কেউবা মুদিখানার দোকান করে। কেউ কেউ হোটেল রেস্তোরা চালায়। এখানে ভিবিন্ন খুচরা ব্যবসা করে থাকে। এ উপজেলায় বড় ধরণের কোন কলকারখানা নেই। নাচোল উপজেলাটি ব্যবসায় বানিজ্যে অনেক অনগ্রসর রয়েছে।
তবে উপজেলাটি বরেন্দ্র অঞ্চল ভুক্ত হওয়ায় এলাকার ভুমির একটি বিশেষ গুন রয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচুর ফলের বাগান গড়ে উঠেছে যেমন, আম, বড়ই, পেয়ারা, ড্রাগন ফল, বারমাসি আম,্মাল্টা, লিচু সহ বিভিন্ন জাতের দেশি-বেদেশি ফল।এই অঞ্চলে উতপাদিত ফল দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রহনপুর তথা গোমস্তাপুর উপজেলার এই এলাকা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনী তাদের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামটি সাম্প্রতিকালের। জেলাবাসীর দাবির মুখে ২০০১ সালের ১লা আগস্ট সরকারিভাবে নবাবগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাখা হয়। পূর্বে এই এলাকা 'নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল।
কালাই রুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার৷ এটি পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবারও বটে। এক সময় কালাই এর সহজলভ্যতার কারণে এই অঞ্চলে এই রুটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। এই এলাকার প্রত্যেক মেয়েই জানে জানে কীভাবে এই রুটি বানাতে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত, কারণ গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩২০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং রাজশাহী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অবস্থিত।