নামকরণ : উচ্চ ব্রক্ষ্মের রাজা অরম্নন যুগের পতনের পর আরাকানদের কর্তৃক নিপীড়িত ও অত্যাচারিত হয়ে চাকমারা ১৪১৮ খ্রীষ্টাব্দে তৈনছড়ি নদীকুলে মাত্র ১২ খানি গ্রামে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু পরে ঔসব এলাকায় মগ ও পর্তুগীজদের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি পেয়ে ষোড়শ শতাব্দীতে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর অরণ্যে বসতি স্থাপন করে। কিংবদন্তি আছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপনকারী নান্যা নামের একব্যক্তি চেংগী নদী বিধৌত চরের সত্ত্বাধিকারী ছিলেন বিধায় তার নামে সাথে সমন্বয় রেখে নান্যাচর নামকরণ করা হয় যা বর্তমানে নানিয়ারচর নামে রুপান্তরিত হয়েছে। নানিয়ারচর কাপ্তাই হৃদ পরিবেষ্টিত বিভিন্ন উপজাতি অধ্যুষিত ১৯৭৯ সালে সৃষ্ট থানা যা ১লা আগষ্ট ১৯৮৩ ইং সনে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলার মোট আয়তন ৬১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি জেলার আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জেলা।
রাঙ্গামাটি জেলায় ১০ টি উপজেলা রয়েছে-
রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতমঃ
১৯৮৯ সনে পার্বত্য জেলাসমূহের বিভিন্ন অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠি অধ্যুষিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নকল্পে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ ১৯৮৯ (১৯৮৯ সনের ১৯নং) অনুযায়ী রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ স্থাপিত হয়।
কাপ্তাইয়ের দর্শনীয় স্থান কাপ্তাই হ্রদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম এ হ্রদ রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত। 2 কর্ণফুলি কাগজ কল। চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত এ কাগজ কলটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজ কল।