নেছারাবাদ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি কারা?
25th Dec 2022 | পিরোজপুর জেলা |
নেছারাবাদ উপজেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি -
- শাহ্ সূফী নেছারুদ্দীন আহমাদ - ছারছীনা দরবার শরীফের প্রথম পীর ও প্রতিষ্ঠাতা;
- আবু জাফর ছালেহ - ছারছিনা দরবার শরীফের দ্বিতীয় পীর;
- হযরত ফকির আদু শাহ্ আউলিয়া (র)- পাটিকেলবাড়ী দরগাহ শরীফের পীর ও প্রতিষ্ঠাতা;
- চিত্তরঞ্জন সূতার - মহান মুক্তিযোদ্ধর অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর আন্যতম সহচর, প্রাক্তন এম এল এ,ও সংসদ সদস্য। জন্ম ১৩৩৪ সালের ৯ই চৈত্র(ইংরেজি ১৯২৮ সালের ২৩ মার্চ)বৃহত্তর বরিশাল জেলার,(বর্তমান পিরোজপুর)স্বরূপকাঠী থানার ব্যাসকাঠী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ললিত মোহন সূতার;
- আলহাজ্ব বজলুর রহমান খান - ব্রিটিশ জুড়ি বোর্ডের সদস্য, ল্যান্ডলর্ড, শতবর্ষী মানব, ১৯৭১ সালে সেহাংগলে মুক্তিযোদ্ধাসহ
- হাজারো অসহায় হিন্দু- মুসলিমদের আশ্রয় দাতা।
- জুয়েল আইচ - জাদু শিল্পী, একুশে পদক প্রাপ্ত;
- খান বাহাদুর হাশেম আলী খান - অভিভক্ত বাংলার মন্ত্রী রাজনীতিবিদ শিক্ষক আইনজীবী ও সমাজ সেবক;
- খান মুহাম্মদ সালেক- ১৯১৭ সালে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী থানার আকলম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বরেন্য এই শিক্ষাবীদ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী আজকের প্রথম সারির বিদ্যালয় ‘গভর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের (ঢাকা), তিনিই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষেকেরও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একুশে পদক ও রাষ্ট্রপতী পুরষ্কারে ভুষিত হন। তিনি মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৫০ টি পাঠ্যপুষ্তক রচনা করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি মিসিলে অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং দাপ্তরিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনে ব্যপক ভুমিকা রেখে ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন সাংগঠনিকও ছিলেন। ১৯৯৫ - ৫ জুন তিনি ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
- শাহ আলম - এমপি
- এনায়েত হোসেন খান - সাবেক এম পি।
- এম, শামসুল হক- গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সাবেক সহঃসচিব সোগাগদল ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। সরকারের গুরুত্ব পূর্ন দায়িত্বের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেছেন পশ্চিম সোগাদল শহীদ স্মৃতি বি,এম, ইনস্টিটিউট যেখানে কলেজ, প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল,ভকেশনাল, মাদরাসা আছে।
- ফকির নাসির উদ্দিন- সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। তিনি পাটিকেলবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজ, এগার গ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাটিকেলবাড়ী দরগাহ্দ শরীফ. মাদরাসা, এতিমখানা, মসজিদ সহ বহু প্রতিষ্ঠান।
- বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব মরহুম আব্দুর রহমান সাহেব।
Related
পিরোজপুর জেলা কি জন্য বিখ্যাত?
পিরোজপুর জেলা নারিকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া এর জন্য বিখ্যাত।
প্রবাদ প্রবচন ও বিয়ের গানের জন্য পিরোজপুর বিখ্যাত। বর্তমানে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী,সংগীতা, ধ্বনি শিল্পী গোষ্ঠী, রুপান্তর নাট্য গোষ্ঠী, পিরোজপুর থিয়েটার, কৃষ্ণচুড়া থিয়েটার, বলাকা নাট্যম্ প্রভৃতি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালন পালন ও প্রচারে একাগ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
Related
পিরোজপুর কত নম্বর সেক্টরে ছিল?
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর কমান্ডের আওতায়।
Related
পিরোজপুর জেলার ভৌগোলিক সীমানা
পিরোজপুরের উত্তরে বরিশাল জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে বরগুনা জেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও বরগুনা জেলা এবং পশ্চিমে বাগেরহাট জেলা ও সুন্দরবন অবস্থিত। পশ্চিমে বলেশ্বর নদী পিরোজপুরকে বাগেরহাটের থেকে আলাদা করেছে।
Related
পিরোজপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিরোজপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১১,১৩,২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৪৮,২২৮ জন এবং মহিলা ৫,৬৫,০২৯ জন। মোট পরিবার ২,৫৬,০০২টি।
Related
পিরোজপুর জেলার ভূ-ভাগের গঠন
পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক মতে, ঋগবেদের আমলেও বঙ্গের দক্ষিণভাগ ছিল অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত। মৌর্যযুগে পলল সংযোগে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ গড়ে ওঠলে ভূ-তাত্ত্বিকভাবে ক্রমশ পিরোজপুর ভূ-ভাগের পলল উত্থান ঘটে। পৌরাণিক নদী গঙ্গার পূর্বগামী শাখা নলিনী, হলদিনী, পাবনী নামে পরিচিত ছিল। পৌরাণিক নদীর উত্তরসূরী আধুনিক গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, সুগন্ধার পলিরেণু গাঙ্গেয় বদ্বীপে যে সব দ্বীপ তথা নব্য ভূ-ভাগ সৃষ্টি করে, পিরোজপুর জেলার জনপদ সে সব দ্বীপেরই অংশবিশেষ। তবে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠেছে আরও পরে। ঐতিহাসিকদের ধারণায় পাল ও সেন আমলে বিচ্ছিন্নভাবে জনবসতি গড়ে উঠতে শুরু করলেও মূলত মোগল ও সুলতানি আমলে এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি গড়ে ওঠে। তবে উনিশ শতক পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার একটি অংশ ছিল জলাশয়। এর মধ্যে স্বরূপকাঠির সাতলা, নাজিরপুরের বিল ও ভান্ডারিয়া অঞ্চলে চেচরি-রামপুর বিল অন্যতম।