১৭৬০ এর দশকের শেষের দিকে নোয়াখালীর নামের উৎপত্তি হয়।তখন আওরঙ্গজেব ছিলেন দিল্লির সম্রাট। পার্বত্য ত্রিপুরার পাহাড় থেকে উৎসারিত ডাকাতিয়া নদীর বন্যায় ঘন ঘন প্লাবিত হতো ভুলুয়ার উত্তর এবং পূর্বাঞ্চল। বন্যার হাত থেকে এখানকার কৃষি অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য কুমিল্লার ফৌজদারের তত্ত্বাবধানে ডাকাতিয়া থেকে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চৌমুহনীর মধ্য দিয়ে একটি নতুন খাল কেটে বন্যার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলো মেঘনা ও ফেণী নদীর সঙ্গমস্থলে। সুদীর্ঘ এই খালটি খননের পর ভুলুয়া ভূখন্ডের নতুন নাম হলো নোয়াখালী, অর্থাৎ নতুন খালের দেশ। ‘নতুন’ শব্দের স্থানীয় লোকজ নাম ‘নোয়া’ থেকেই মোঘল যুগে কাটা খালটি ‘নোয়াখাল’ লোকমুখে এই অঞ্চলটিকে অভিহিত করেছে নোয়াখালী নামে। ১৮২১ সালে নোয়াখালীকে পৃথক জেলা গঠন করলেও ভুলুয়া নামেই এ জেলার পরিচিতি ছিল। ১৮২২ সালের ২৯ মার্চ গভর্ণর দ্বিতীয় হেস্টিংস স্বপরিষদে নোয়াখালীকে একটি পৃথক জেলার মর্যাদা দান করেন। কিন্তু ভুলুয়া রাজ্যের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য নবঘোষিত জেলার নামকরণ করা হয় ভুলুয়া। ১৮৬৮ সাল হতে সরাসরি এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় নোয়াখালী। ১৯৮৪ সালে নোয়াখালী জেলা ভেঙ্গে লক্ষীপুর ও ফেণী নামে আলাদা দুটি জেলা গঠিত ।
নোয়াখালী জেলার : ৮টি পৌরসভা,
নোয়াখালী জেলার উপজেলা কয়টি ৯ টি
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর পূর্বনাম ছিল ভুলুয়া। উপজেলার সংখ্যানুসারে নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।