ভাষা
ভাগীরথী এবং মধুমতীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হওয়ায় নদীয়া শান্তিপুর অঞ্চলের ভাষার সাথে নড়াইল সদর উপজেলার ভাষার কিছুটা মিল আছে। খুলনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ভাষার সাথে এই উপজেলার ভাষার বেশ মিল রয়েছে। ভৌগলিক কারণে প্রতি ১৫/২০কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে ভাষা ব্যবহার ও উচ্চারণে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়।
সাহিত্য-সংস্কৃতি
কোন এলাকার সংস্কৃতির মাঝে ঐ এলাকার ব্যক্তি-পরিবার-গোত্র-সমাজ তথা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে। সেজন্যই সংস্কৃতি হলো জাতির দর্পন। নড়াইল সদর উপজেলা সাংস্কৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ। এই উপজেলার মানুষ সাধারণভাবে অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপ্রিয় এবং অতিথি পরায়ন। প্রাচীনকাল হতে খেলাধুলা-সাহিত্য-গীত-চিত্রকলা ইত্যাদি চর্চার জন্য এই উপজেলা সুবিদিত। বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান এই উপজেলা সন্তান। অভিনয়ের ক্ষেত্রে সন্ধারায় এ উপজেলার মানুষ, সুচিত্রা সেন আশৈশব বেড়ে ওঠেছেন এখানে। সুরকার ও কন্ঠশিল্পী কমল দাস গুপ্ত এ জেলার মানুষ। সংগীতে বিশেষ করে কবি গানের নমন্য পুরুষ বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী বা বিজয় সরকার এবং জারী সম্রাট চারণ কবি মোসলেম উদ্দিন এ জেলার মানুষ। প্রচীন কবি ও সাহিত্যিক গুরুনাথ সেনের বাড়ী এখানে।
নড়াইল সদর উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নাটক-যাত্রা-নৃত্য-সঙ্গীত-আবৃত্তি আয়োজিত হয়। উল্লেখযোগ্য লোকজ উৎসবের মধ্যে রয়েছে মেলা-পার্বণ-জারি গান-নৌকা বাইচ-ষাড়ের লড়াই ইত্যাদি। ক্রিড়ার মধ্যে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, লন টেনিস, হ্যান্ড বল, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলা।
নড়াইল জেলার মোট জনসংখ্যা সংখ্যা :৭,২১,৬৬৮ জন |পুরুষ- ৩,৫৩,৫২৭ মহিলা ৩,৬৮,১৪১
নড়াইল জেলার উপজেলা :৩টি
সেগুলো হলঃ