পবা মূলতঃ কৃষি নির্ভর। এখানকার সিংহভাগ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি। তাই এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছূ কৃষি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি সরকারী ও চারটি বেসরকারী সহ মোট পাঁচটি জুট মিল,একটি সুগারমিল,বারটি কোল্ড স্টোরেজ ,শতাধিক রাইস মিল,পঞ্চাশটি ইট ভাটা ও বারটি হাট বাজার রয়েছে । ব্যাবসা বানিজ্য মূলত নওহাটা,কাটাখালী,দামকুড়া,দারুশা ও রামচন্দ্রপুর কেন্দ্রিক। পবা থেকে প্রতিদিন শতশত টন টাটকা শাকসবজি রাজশাহী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করাহয়। এ ছাড়া এখানকার ফরমালিনমুক্ত জীবিত মাছ জীবিত অবস্থায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়।
রজশাহী জেলা আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ি, খেজুরের গুড় এবং শংকরের ক্ষীরের চমচম এর জন্য বিখ্যাত।
রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি। দেশ স্বাধীনের পর সত্তর দশকেই রাজশাহী শহরে ও বাংলেদেশে কলাইয়ের রুটি বিক্রির সূচনা হয়। পূর্বে নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কলাইয়ের রুটি কিনে খেলেও এখন সব পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহানগরীর সব এলাকাতেই ফুটপাতে খুপড়ি মত অথবা ছোট কলাইয়ের রুটির দোকান আছে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের মতো উন্নত আয়োজনে কলাইয়ের রুটির দোকানের সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধি ঘটছে।
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।