The Ballpen
পাথরঘাটা উপজেলার অর্থনীতি - theballpen

পাথরঘাটা উপজেলার অর্থনীতি

28th Dec 2022 | বরগুনা জেলা |

পাথরঘাটা উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত মৎস্য আহরণ ও কৃষি নির্ভর। পাথরঘাটার প্রধান রপ্তানিদ্রব্য হচ্ছে ধান, ইলিশ মাছ ও চিংড়ি পোনা।

 ৬০.৩ শতাংশ জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি। অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে অকৃষি শ্রমিক ৩.৮৭%, শিল্প ০.৫৫%, ব্যবসা ১৫.৮৮%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.২১%, চাকুরি ৬.৪২%, নির্মাণ শিল্প ১.৪৬%, ধর্মীয় সেবা ০.১৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৫%, এবং অন্যান্য ৮.৮৭%।

এখানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী বাজার আছে। দেশের সামুদ্রিক মাছের চাহিদার একটি বড় অংশ আসে পাথরঘাটার এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে।[৩২] মাছ সংরক্ষণের জন্য আছে বরফকল।

ধান, আলু, ডাল, সূর্যমূখী, আখ, মরিচ ইত্যাদি নানা অর্থকরী ফসল উৎপাদনের সাথে এখানকার মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। এসব সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় সমস্যা হল লবণাক্ততা। তা সত্ত্বেও এখানকার উৎপাদিত চাল, আলু, ডাল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও বিক্রি করা হয়।

প্রধান কৃষিজ ফসল ধান, আলু, খেসারি ডাল, মুগ ডাল ও শাকসবজি হলেও বিভিন্ন ফল-ফলাদি যেমন কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, আনারস ও কাগজিলেবু চাষ হয়।এছাড়া রয়েছে অনেকগুলো মৎস্য, গবাদিপশু ও হাস-মুরগীর খামার।

শিল্প ও কলকারখানার মধ্যে আছে স’মিল, ধানকল, বরফকল, ওয়েল্ডিং কারখানা ও ইটভাটা। কুটিরশিল্পের মধ্যে আছে স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, সূচিশিল্প, বাঁশ ও কাঠের কাজ।

পাথরঘাটা উপজেলায় হাটবাজারের সংখ্যা ১৬। এর মধ্যে পাথরঘাটা, কাকচিড়া, রূপদোন, হরিণঘাটা এবং চরদুয়ানি বাজার উল্লেখযোগ্য।





Related

বরগুনা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।



Related

মুক্তিযুদ্ধকালে বরগুনা কততম সেক্টরের অধীনে ছিল?

প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া উপ-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামী সহস্রাধিক তরুণ বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। এরই মধ্যে পাকবাহিনী দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে।



Related

তালতলী উপজেলা কে কবে ঘোষণা করেন?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।



Related

বরগুনা জেলার এমপি কে?

বরগুনা-৩ বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সংসদীয় আসন। বাংলাদেশের বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ ছিলেন শেখ হাসিনা।



Related

বরগুনা জেলার ভৌগোলিক সীমানা

বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।

জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।