পাথরঘাটার জলবায়ু গ্রীষ্মমন্ডলীয়। বছরের বেশিরভাগ মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। সংক্ষিপ্ত শুকনো মওসুম সামগ্রিক আবহাওয়ার উপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না। কপেন এবং গিজারের মতানুসারে, এই জলবায়ুটিকে Am হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। পাথরঘাটার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ২৬.০° সেলসিয়াস। গড় বৃষ্টিপাত ২৪১০ মিমি।
পাথরঘাটার শুষ্কতম মাস হচ্ছে ডিসেম্বর। ডিসেম্বর মাসে ১৯ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জুলাই মাসে গড়ে ৫৫৪ মিমি গড় বৃষ্টিপাত হয়।
গড়ে ২৯.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে বছরের সবচেয়ে উউষ্ণতম মাস হচ্ছে মে। জানুয়ারীতে বছরের সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে। এটি ১৯.৬ ° সেলসিয়াস।
সবচেয়ে শুষ্কতম এবং আদ্রতাপূর্ণ মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৪৪ মিমি হয়ে থাকে। বছরের গড় তাপমাত্রা ১০.৩° সেলসিয়াস পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
পানির তাপমাত্রা
পাথরঘাটা উপজেলা বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরের পানির তাপমাত্রাই পাথরঘাটার পানির তাপমাত্রা। পাথরঘাটার বার্ষিক পানির তাপমাত্রা থাকে গড়ে ২৭.৩০° সেলসিয়াস বা ৮১.১৪° ফারেনহাইট।
গড়ে জুন মাসের ৬ তারিখে পানির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ২৯.৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৮৫.৮২ ডিগ্রী ফারেনহাইট। পানির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ২১.৫০ ° সেলসিয়াস বা ৭০.৭০ ডিগ্রী ফারেনহাইট যা জানুয়ারীর ১৫ এর দিকে পৌঁছায়।
বরগুনা জেলা নারিকেল ও সুপারির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বরগুনার বিখ্যাত খাবার -চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা, আল্লান, বিসকি, তালের মোরব্বা, শিরনি, নাড়িকেলের সুরুয়া, চালের রুটি, ইলিশ মাছ, মিষ্টি।
প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া উপ-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পরে বরগুনার মুক্তিকামী সহস্রাধিক তরুণ বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে। এরই মধ্যে পাকবাহিনী দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী জেলা দখল করে ফেলে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ০৬/০৫/২০১০ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বরগুনা-৩ বাংলাদেশের একটি বিলুপ্ত সংসদীয় আসন। বাংলাদেশের বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত হয়েছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গেজেটে এই আসনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনের সর্বশেষ সাংসদ ছিলেন শেখ হাসিনা।
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট।
জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।